মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ : এমপিপুত্রের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : নীলফামারীর সৈয়দপুরে সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে এমপিপুত্রের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত ১২ জানুয়ারি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিয়োগ পরীক্ষার্থী ও গভর্নিংবডির সাবেক সদস্যরা। কলেজ গভর্নিংবডির সদস্য ও এমপিপুত্রের নাম প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ। তিনি নারী আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীমের পুত্র।
অভিযোগকারী আশরাফ হোসেন, আজিজুল বিশ্বাস, রাজীব কুমার রায়, বৃষ্টি বেগম ও কণিকা কর্মকার বলেন, গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার ছুটির দিন সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের শূন্য পদে উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখানে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত রয়েছেন গভর্নিংবডির প্রভাবশালীর সদস্য এমপি পুত্র প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও অপর সদস্য সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন সদস্য। এ নিয়োগ বাণিজ্যে আর্থিক লেনদেন করেছেন ওই কলেজের ইসলাম শিক্ষার প্রভাষক আজমল হোসেন।
এছাড়া ইতোপূর্বে ওই কলেজে সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীম গভর্নিংবডির সভাপতি থাকা অবস্থায় পাঁচ পদে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই নিয়োগের বিনিময়ে নেয়া টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে কলেজে একটি সিসি ক্যামেরা ও মিনি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। অথচ প্রচার করা হয় এমপির তহবিল থেকে এ উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো তদন্ত না হওয়ায় একই কায়দায় এবারেও তারা নিয়োগ বাণিজ্যের খেলায় মেতে উঠেছেন।
অভিযোগের সূত্র ও কলেজ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় উপাধ্যক্ষ পদে প্রথম হন শাহিনুর রহমান এবং দ্বিতীয় হন সাবিনা সালাম নামের কলেজ শিক্ষক। কিন্তু মেধায় অগ্রসর শাহিনুর রহমানকে নিয়োগ না দিয়ে মেধায় পিছিয়ে থাকা দ্বিতীয় সাবিনা সালামকে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন ওই এমপি পুত্র ও তার সহযোগীরা। একই ঘটনা ঘটেছে অফিস সহকারী পদে নিয়োগের বেলায়ও। এমন অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে বর্তমান নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন ওই অভিযোগকারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় এমপি পুত্র ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, ‘অভিযোগের কপিটি এখনো আমি পড়ে দেখিনি। তবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়