রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

ভোলাসহ উপকূলীয় ৫ জেলায় চলছে জলচর পাখিশুমারি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভোলা প্রতিনিধি : অতিথি পাখিদের সংরক্ষণে উপকূলীয় ৫ জেলায় চলছে জলচর পাখিশুমারি-২০২৩। গতকাল শুক্রবার সকালে ভোলা জেলার খেয়াঘাট এলাকার ভোলার খাল থেকে একটি ট্রলারে বিশিষ্ট পাখি গবেষক ও বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সহসভাপতি সায়েম ইউ চৌধুরীর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল ৯ দিনব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু করে। দলটি ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ল²ীপুর ও নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন চরে এই শুমারি পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব, বন অধিদপ্তর, টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্প (সুফল), প্রকৃতি ও জীবন, প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়নের (আইইউসিএন) এই পাখি শুমারির আয়োজন করে। পর্যবেক্ষক দলের অন্যরা হলেন- পাখি পর্যবেক্ষক ও পর্বতারোহী এম এ মুহিত, বার্ডস ক্লাবের সদস্য মো. ফয়সাল, অনু তারেক, নাজিমুদ্দিন খান, বন বিভাগের জহুরা মিলা, আইইউসিএন বাংলাদেশের কাজী জেনিফার আজমেরি, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের গবেষণা কর্মকর্তা শিহাব খালেদী।
শীতের সময় সাইবেরিয়া, তিব্বত, মঙ্গোলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা বরফে ঢেকে যায়। এতে করে পাখিদের খাবারের অভাব হয়। তখন এসব পাখি খাবারের খোঁজে বাংলাদেশে আসে। বিশেষ করে ভোলা অতিথি পাখির জন্য খুবই সমৃদ্ধ। তাই গত কয়েক দশক ধরে এই এলাকায় পাখি শুমারি হয়ে আসছে। গণনা শেষে প্রতিবেদনটি ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল নামের আন্তর্জাতিক সংস্থা বই আকারে প্রকাশ করবে। পর্যবেক্ষক দলের প্রধান বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাবের সহসভাপতি সায়েম ইউ চৌধুরী জানান, দেশে অতিথি পাখির বিচরণের ক্ষেত্রে এই অঞ্চল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শুমারিতে পাখি গণনার জন্য বাইনোকুলার ও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়। পাখির সংখ্যা যখন কম থাকে (৩০০ থেকে ৪০০), তখন একটা একটা করে গণনা করা যায়। কিন্তু যখন পাখির সংখ্যা হাজার বা লাখে থাকে, তখন ব্লক ম্যাথডের মাধ্যমে গণনা করা হয়। তিনি বলেন, শুধু পাখি গণনা নয়, পাখিদের জীবন, অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পাখিদের রক্ষায় এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব সদস্য মো. ফয়সাল বলেন, এসব পাখি সারাবছর এক স্থানে থাকে না। ওদের জীবনযাপনের প্রণালিই এ রকম। অনেক বছরের গণনার ফলে দেখা যায়, প্রতিটি প্রজাতির সংখ্যার তারতম্য হচ্ছে কিনা। যদি সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলে বুঝতে হবে অবস্থা ভালো। আর যদি ক্রমাগত কমতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে প্রজাতিটা হুমকিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাখি পর্যবেক্ষক ও পর্বতারোহী এম এ মুহিত জানান, কোনো দেশের প্রকৃতির অবস্থা বোঝা যায় সে দেশের পাখির অবস্থা কেমন তার ওপর। সর্বশেষ গত বছর পাখি শুমারিতে এই অঞ্চলে ৫৮ প্রজাতির প্রায় ৪০ হাজার অতিথি পাখি দেখা গেছে। যার মধ্যে ভোলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬০ ভাগ পাখি রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়