রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির দাম স্বস্তি নেই ডিম-আদা-কাঁচামরিচে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশজুড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে মাঠ থেকে ফসল তুলতে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। আর ঘন কুয়াশার কারণে সবজি পরিবহনও ব্যাহত হচ্ছে। তাতে রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ কমে এসেছে।
ভরা মৌসুমেও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। স্বস্তি নেই ডিম, মাছ, আদা-রসুন ও কাঁচা মরিচের দামেও। আর চাল, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মালিবাগ বাজারের ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- শীত আসার পর গত সপ্তাহে সবজির দাম কমে এলেও গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে ফের সবজির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা। তাতে এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, শিম ও টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, গাজর ও শসা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, ধুন্দল ও চিচিঙ্গার কেজিপ্রতি দাম রাখা হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। গত সপ্তাহেও এসব সবজির কেজি ৫০-৬০ টাকার মধ্যে ছিল। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম পড়ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বড় আকারের প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। খুচরায় এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুর মোহম্মদ বলেন, ভরা মৌসুমেও সবজির দাম অনেক বেশি। সব জিনিসেরই দাম বেশি। টমেটো এখন থাকার কথা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। অথচ টমেটোর দাম ৫০-৬০ টাকা কেজি। গত কয়েক দিনে অন্তত ৩০ শতাংশ সবজির ট্রাক কম এসেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, এই সময়ে সবজির দাম কম থাকে। তবে কয়েক দিন আবহাওয়া একটু বৈরী। সরবরাহে ঘাটতি হওয়ায় দাম একটু বাড়তি। উৎপাদন খরচও বেশি। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম দ্রুত কমে যাবে।
এদিকে, আবারো বেড়েছে ডিমের দাম। সঙ্গে আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে। শান্তিনগর বাজারে গতকাল প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। ডিম বিক্রেতা এজাজুল হক বলেন, পাইকারি বাজারে ডিম নেই। সে কারণে এখন প্রতি ডজনে ১৫ টাকা বাড়তি বিক্রি করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেও ডিমের দাম ১১৫-১২০ টাকা ডজন ছিল।
শীতের কারণে ডিমের চাহিদা বাড়ায় এ পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন পাইকাররা। অন্যদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমেও। প্রতি হালি হাঁসের ডিম এখন ৭৫ টাকা। একইভাবে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকায়। যা ১২০-১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া ৮০-১০০ টাকার মধ্যে থাকা রসুনের দাম এখন ১২০-১৫০ টাকা দরে উঠেছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ২০ শতাংশ এবং আদার দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। আদা-রসুনের দাম বাড়ার বিষয়ে শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতারা পণ্যের সরবরাহ কম থাকাকে দায়ী করছেন। তাদের দাবি, চীনে আদা-রসুনের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি সংকট রয়েছে দেশি আদা-রসুনের।
স্থিতিশীল মাছ-মাংসের বাজার : এদিকে, ব্রয়লার ছাড়া সব ধরনের মুরগি ও মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। এছাড়া অপরিবর্তিত থেকে সোনালি ২৫০ টাকা, লাল লেয়ার ও সাদা কক ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা, মহিষের মাংস ৮০০ টাকা, খাশির মাংস এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া মাছের দামও মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।
এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এক কেজির কম ইলিশ হাজার টাকার নিচে। রকমভেদে রুই ২৫০ থেকে ৩৫০, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০, শোল ৭০০ থেকে ৮০০, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়