আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

তুরস্কে ঠাণ্ডায় মৃত্যু : পরিবারে সচ্ছলতা আনা হলো না সুনামগঞ্জের তানিলের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা ও শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি : পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে স্বপ্নের ইউরোপে যাওয়া হলো না সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের কলেজছাত্র তানিলের। অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে তুরস্কের বরফঢাকা অঞ্চলে ঠাণ্ডায় জমে গত ৯ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তার। তানিল সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, চার ভাইয়ের মধ্যে তানিল সবার বড়। স্থানীয় একটি কলেজে বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল সে। এলাকায় ভালো ফুটবলার হিসেবেও পরিচিতি ছিল তার। আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ইউরোপে গিয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিল তানিল।
ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর শুনে মা সেলিনা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তানিলের চাচা নূর মিয়া বলেন, তানিল গত নভেম্বর মাসে প্রথমে দুবাই যায়। পরে সেখান থেকে যান তুরস্কে। তানিলের তুরস্ক হয়ে গ্রিস যাওয়ার ব্যাপারে দালাল হিসেবে কাজ করে একই গ্রামের ইরানপ্রবাসী শাহীন মিয়া। তার প্ররোচনাতেই তানিল বাড়ি ছাড়ে বলে তার চাচা নূর মিয়ার অভিযোগ।
গত সোমবার রাতে তুরস্কে থাকা একই উপজেলার টাইলা গ্রামের মাসুম আহমদ মুঠোফোনে তানিলের বাড়িতে জানান, কয়েকজন দালালের মাধ্যমে হেঁটে তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল তানিল। তখন তুরস্কে তীব্র ঠাণ্ডা ছিল। তুরস্ক সীমান্তের কাছাকাছি একটি পাহাড়ে গিয়ে তানিল ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানেই সে মারা যায়।
পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার বলেন, নানাভাবে দালালরা তরুণদের ইউরোপে পাঠানোর জন্য প্ররোচিত করেন। একসময় তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। দুমাস আগে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার এক শিক্ষার্থী একইভাবে মারা গেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছি।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড মিডিয়া) রিপন কুমার মোদক ভোরের কাগজকে বলেন, অবৈধভাবে দালালের প্ররোচনায় পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ যাতে বিদেশে না যান, সে জন্য পুলিশ নানাভাবে মানুষজনকে সচেতন করে থাকে। ওপেন হাউস ডে, উঠান বৈঠকে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। বৈধ ভিসা নিয়ে কেউ কেউ দুবাই যান। পরে সেখান থেকে দালালের খপ্পরে পড়ে অন্যত্র যেতে গিয়ে বিপদে পড়েন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়