ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৯ এপ্রিল শুরু হবে। ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি, যা চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি পরিবর্তন করে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সঙ্গে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। ২০ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এ ছাড়াও আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
এবছর ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে- ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’।
পরীক্ষার সময় ও স্থান : সভায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ মে, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ মে, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ মে এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) আগামী ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ‘চারুকলা ইউনিট’ ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার মানবণ্টন : চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা নেয়া হবে। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং অঙ্কন পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের উপর থাকবে ২০ নম্বর।
পরীক্ষার যোগ্যতা : ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
ভর্তি কমিটির এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।