আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

ওবায়দুল কাদের : বিএনপির জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়, বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কর্মসূচি দিতে পারে। তাদের ১০ দফা আছে, আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম, ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়? অবশ্য তাদের ঐক্যের পরিণতি আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি। অতি বাম, অতি ডান মিলেমিশে একাকার। সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুধবার বিএনপির সমাবেশ দেখলাম। অবশ্যই বড় হয়েছে, অস্বীকার করে লাভ নেই। আমাদের দুইটা মিটিং অনেক বড় হয়েছে। শহীদ মিনারের সমাবেশ বড় হয়েছে। মিরপুরে তো বিরাট সমাবেশ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আলোচনা সভা সমাবেশে রূপ নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি। যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেহেতু ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেয়া যুক্তিসংগত নয়। আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা বারবার একই কথা বলেছি, সা¤প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের একটিকে ছাড়া আরেকটি চলবে না।
তিনি বলেন, জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকাই দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পেঁৗঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের আবার একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হলে জামায়াত ছাড়া তাদের চলবে না।
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ওই পদে বসার যোগ্যতা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন। তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন। সময় হলে জানতে পারবেন।
ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, কোথাও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফরিদপুরে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। সমাধান হয়ে গেছে। ময়মনসিংহে স্পটে কিছু হয়নি। ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। পরের দিন ১১ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি ছিল। মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ আমাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ, অন্য সহযোগী সংগঠন, মফস্বলের উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এটি সব সময় হয়ে আসছে। এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় না। তবে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। সেটা হচ্ছে সতর্ক পাহারায় থাকা। যাতে করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে না পারে এবং অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সহিংসতার কোনো উপাদান যুক্ত হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি।
বিএনপির নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের কোনো নেতা নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদের সভাপতি। তাদের কে? তারা কখনো বলে খালেদা জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা। কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। কাকে তারা নেতা বানাবেন? গতবার কামাল হোসেন ছিলেন। পরে তাদের মানসম্মানও বিঘিœত হয়ে গেছে। এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়