সংসদে অর্থমন্ত্রী : গত বছরের ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার

আগের সংবাদ

তারল্য সংকটে বিপাকে ব্যাংক : সংকট উত্তরণে দরকার দৃশ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার, এখনই সমাধান না করলে সংকট আরো গভীর হবে

পরের সংবাদ

মেয়র আতিক : অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যরে অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যরে অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি অভিজাত এলাকায় যদি আমাদের এমন চিত্র দেখতে হয়, তাহলে আমাদের আর কী করার আছে?
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর বারিধারা এলাকায় সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া পয়োবর্জ্যরে সংযোগ বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনার সময় এ মন্তব্য করেন ডিএনসিসি মেয়র। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী এবং বারিধারা সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
অভিযানের অংশ হিসেবে বারিধারা ১১ নম্বর রোডের চারটি বাড়ির সামনে কলাগাছ দিয়ে সারফেস ড্রেন থেকে পয়োবর্জ্যরে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। বাড়ির মালিকরা অনতিবিলম্বে নিজ থেকে এসব সংযোগ বন্ধ না করলে স্থায়ীভাবে তা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, দেশের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত বারিধারার ৫৫০টি বাড়ির মধ্যে ৩৪২টি বাড়ির পয়োবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে দেয়া হয়েছে। সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী বেঁধে দেয়া আট স্তরের ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে বারিধারা এলাকার মাত্র ৫টি বাড়ির পয়োবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে দেয়া হয়নি। এছাড়া ২০৩টি বাড়ি আটটি শর্তের মধ্যে কিছুসংখ্যক শর্ত পূরণ করেছে। অন্যদিকে একদমই শর্ত পূরণ করেনি ৩৪২টি বাড়ি, যাদের বাড়ির পয়োবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে রয়েছে। অভিজাত এলাকায় পয়োবর্জ্যরে অবৈধ সংযোগ খুবই দুঃখজনক। বারবার বলছি, সিটি করপোরেশনের সুয়ারেজ লাইনে পয়োবর্জ্যরে সংযোগ দেয়া যাবে না। ওয়াসার পৃথক লাইনে এসব বাড়ির বর্জ্য যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি নেই। যেখানে ওয়াসার লাইন নেই সেখানে নিজস্ব ব্যবস্থায় ইটিপি প্ল্যান্ট বসিয়ে পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই পয়োবর্জ্য বা ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না। অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে আসছি, সচেতন করে আসছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি, কিন্তু তারা কথা শোনেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অভিযান শুরু করলাম। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বাসার সামনে গিয়ে ড্রেনগুলো আমরা কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজ আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেছি। পরবর্তীতে বনানী ও নিকেতন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি গুলশান ২ এর ১০৪ ও ১১২ নম্বর রোড এলাকায় পয়োবর্জ্যরে অবৈধ সংযোগ বন্ধে প্রথমবার অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসি।###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়