ঢাবি প্রতিনিধি : গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ও ৬ জানুয়ারি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শাখা ছাত্রলীগে সংঘটিত ‘অনাকাক্সিক্ষত’ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। গতকাল বুধবার সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত দুটি ভিন্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিস দেয়া হয়। এতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে আগামী সাতদিনের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভোরের কাগজকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন দুটি ঘটনায় আমরা প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি। সংগঠনের কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি পরপর দুদিন রাতে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। এতে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হন। আহত হয়েছিলেন সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম। এ দুদিনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার রাতে লিখিত আদেশ তৈরি করে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে কমিটি গঠন নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।