ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

১১২তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা : বিনোদ বিহারীর নামে সড়কের নামকরণ দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্যসেনের অন্যতম সহযোদ্ধা প্রয়াত বিনোদ বিহারী চৌধুরীর ১১২তম জন্মদিনে তার স্মৃতি রক্ষায় চট্টগ্রাম নগরীতে তার নামে অন্তত একটি সড়ক ও দৃশ্যমান স্থানে একটি ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর মোমিন রোডে প্রয়াত এই বিপ্লবীর সাবেক বাসভবনে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ দাবি তোলেন।
সকালে দি চিটাগাং এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের সহসভাপতি দীপংকর চৌধুরী কাজল, দি চিটাগাং এসোসিয়েশনের সহসাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সমরেশ বৈদ্য, কোষাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ আচার্য, সমাজসেবক সুভাষ চৌধুরী, শিক্ষক অশোক বিজয় দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপিকা রীতা দত্ত’র নেতৃত্বে সারদা সংঘের উদ্যোগেও প্রয়াত এই বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ প্রয়াত এই বিপ্লবীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দি চিটাগাং এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত জানান, চট্টগ্রাম নগরীর জে.এম সেন হল প্রাঙ্গণে বিপ্লবী বিনোদ বিহারি চৌধুরীর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তবে আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে নগরীর একটি প্রধান সড়ক প্রয়াত এই বিপ্লবীর নামে নামকরণের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করি চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা নেবেন।

চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় ১৯১১ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে বিভিন্ন কারাগারে। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যে ৪ দিন (স্বাধীন ছিল) ব্রিটিশদের শাসন থেকে মুক্ত ছিল, সেই যুববিদ্রোহের অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন বিনোদ বিহারি চৌধুরী। সেই যুদ্ধে তিনি কণ্ঠনালীতে গুলিবিদ্ধ হলেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। বাংলাদেশের বেসরকারি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত বিনোদ বিহারি চৌধুরী তার জীবদ্দশায় ছাত্র পরিচয়েই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেছেন। ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিটিশ-পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশেও সমাজ-রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম-অসঙ্গতির বিরুদ্ধে, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে গেছেন বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়