ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী : টিসিবি পণ্য বিতরণে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম চালাতে অনেক টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। তবে নিত্যপণের দাম না কমা পর্যন্ত আমরা টিসিবির সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম চালিয়ে যাব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, গত এক বছরে টিসিবি পণ্যে বিতরণের জন্য সরকার ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। নিত্যপণ্যের ৯০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় বলে জানান তিনি। ফ্যামিলি কার্ডের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ফ্যামিলি কার্ড ডিস্ট্রিবিউশন আমরা দ্রুত ডিজিটালাইজড করে ফেলব।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে (নির্বাচন ভবনের পেছনের বড় রাস্তা) টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে চলতি মাসের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। নতুন বছরের শুরুতে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করে বাণিজ্যমন্ত্রী কার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, সারাদেশে ডিজিটাল কার্যক্রম শেষ হলে অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না। এর আগে গত সোমবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নি¤œআয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল, চিনি ও ডাল) পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে টিসিবি ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে জানুয়ারি মাসের বিক্রয় কার্যক্রম ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করছে। প্রতিবার একটি ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে এক দফায় ৬০ টাকা দরে এক কেজি চিনি এবং ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল এবং ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেন নি¤œআয়ের ভোক্তারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটি কাজ শুরু করতে গেলে কিছু ট্রায়াল ভুল হয়, তবে এই নয় যে, এটি ১০০ ভাগই ভুল। তবে আমরা শতভাগ ভালো করার জন্য কাজ করছি। ভোক্তাদের বাড়তি চাহিদা থাকলেও বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, শিগগিরই বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই। তবে বাজারে দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
গতকাল জানুয়ারি মাসের জন্য শুরু হয়েছে টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য কিনতে আসা ভোক্তারা জানান, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। সে দাম দিয়ে গরিব মানুষের পক্ষে পণ্য কেনা সম্ভব নয়। টিসিবির পণ্য কিনতে হলে আগে যেমন কাড়াকাড়ি-মারামারি ছিল আর অনিয়মের কারণে খালি হাতে পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে হতো, এখন তেমন সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট স্থানে মাসে একবার পণ্য কেনা যাবে।
কামাল এক ক্রেতা বলেন, আগে যেমন ট্রাকের সামনে সিলিয়াল ধরতে হতো, তখন হুড়াহুড়িতে একপর্যায়ে মারামারিও লাগত। কিন্তু এখন কার্ড সিস্টেম করায় অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন সিরিয়াল ধরে যে যার মতো নিয়ে নিচ্ছে। মাসে দুবার টিসিবির পণ্য দেয়ার দাবি জানিয়ে এক ক্রেতা বলেন, এ পরিমাণ পণ্য দিয়ে আমার পুরো মাস চলে না।
কিন্তু কী আর করা। মাসে দুবার দিলে বেশি সুবিধা হতো। প্রতিবার একটি ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে এক দফায় ৬০ টাকা দরে এক কেজি চিনি এবং ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল এবং ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেন নি¤œ আয়ের ভোক্তারা। মাসব্যাপী পর্যায়ক্রমে সাড়ে ৪০০ ডিলারের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য একবার করে পাবে। এর মধ্যে রাজধানীতেই প্রায় ১০ লাখ নি¤œআয়ের পরিবারকে এই পণ্য দেয়া হবে। এদিকে রমজানে তিনটি পণ্যের পাশাপাশি খেজুর ও ছোলাও দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়