ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

তামাক কোম্পানির অর্থেই তামাকবিরোধী গবেষণা!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ধূমপানের ক্ষতি নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা নতুন কিছু নয়। তবে এবার বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ফিলিপ মরিসের (পিএমআই) অর্থপুষ্ট ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ডের (এফএসএফডব্লিউ) সহায়তায় দেশে এই গবেষণার কাজ হতে যাচ্ছে। কাজটি করবে যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিশুর, এনাম মেডিকেল কলেজ এবং এসোশিয়েশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট (এসিই)।
এফএসএফডব্লিউর গ্রান্টি তালিকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানটির নাম রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি মূলত বিভিন্ন তামাক কোম্পানির পক্ষে তথাকথিত গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। এনাম মেডিকেল কলেজের মতো স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনস্বাস্থ্যবিরোধী হিসেবে বির্তকিত এই ফাউন্ডেশনের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিএমআইর অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ‘ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ এর নানা তৎপরতা জনস্বাস্থ্য এবং তামাকবিরোধী কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এফএসএফডব্লিউ মূলত ই-সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের ভ্যাপিং পণ্যের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণকে উৎসাহিত করে থাকে। এ কারণেই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পরপই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, তামাক কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের সুস্পষ্ট স্বার্থ সংঘাত রয়েছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ফাউন্ডেশনের সব ধরনের সহযোগিতা কিংবা যৌথ উদ্যোগ প্রত্যাহার করবে। সরকার এবং জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই নীতি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ডব্লিউএইচও এফসিটিসি সেক্রেটারিয়েট আলাদা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তামাক কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যে কোনো সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড হবে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
উদ্বেগের বিষয় হলো, বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশেও সংগঠনটির তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতসহ বেশকিছু দেশ ‘ফাউন্ডেশন ফর এ স্মোক-ফ্রি ওয়ার্ল্ড’ এর বিতর্কিত কার্যক্রম প্রতিহত করতে সরকারিভাবে সংগঠনটির সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়নি। এফসিটিসির স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও উচিত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী বিতর্কিত এই সংগঠনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়া এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়। একই সঙ্গে এসিই, এনাম মেডিকেল কলেজসহ সব বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের উচিত হবে জনস্বাস্থ্যবিরোধী এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত না করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়