ঢাকা-ওয়াশিংটন : রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

আগের সংবাদ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি : শিক্ষার্থী পায়নি ২০০ প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

জোশিমঠ থেকে সরানো হলো ৪ হাজার বাসিন্দা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের ‘দেবে যেতে থাকা’ হিমালয় অঞ্চলের ছোট শহর জোশিমঠ থেকে চার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬১৫১ ফুট (১৮৭৪ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত উত্তরাখণ্ড রাজ্যের শহরটির ৪৫ হাজার ভবনের মধ্যে ৬৭০টিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে মন্দির ও একটি রোপওয়েও আছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার থেকে ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ভূমি অবনমনের সম্ভাব্য বিপদের মাত্রা বিবেচনায় শহরটিকে তিনটি অংশে বিভক্ত করে ‘ডেঞ্জার’, ‘বাফার’ ও ‘পুরোপুরি নিরাপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘ডেঞ্জার’ অংশটি ৩৫০ মিটার প্রশস্ত বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এখানে রাস্তা ও ফুটপাতে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে, দুটি হোটেল ভবন একে অন্যের ওপর ঠেস দিয়ে আছে আর নলকূপ দিয়ে অনবরত পানি বের হচ্ছে যার কারণ পুরোপুরি পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘দেবে যেতে থাকা’ শহরটিকে দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে এর ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের নির্মাণ কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় চার হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকাগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জোশিমঠের ৩০ শতাংশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে আর তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পেশ করা হবে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সবাইকে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করে শহরটিকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জোশিমঠকে হিন্দু দেবতা বদ্রিনাথের ‘শীতকালীন আসন’ বলে বিবেচনা করা হয়। প্রতি শীতে বদ্রিনাথ শহরের প্রধান মন্দির থেকে বদ্রিনাথ দেবতার মূর্তি নিচে জোশিমঠ শহরের বাসুদেবা মন্দিরে নামিয়ে আনা হয়। শহরটি শিখদের পবিত্র মন্দির হেমকুণ্ড সাহিবে যাওয়ারও প্রধান পথ।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এ শহরটি ‘গেটওয়ে অব গাড়োয়াল’ নামেও পরিচিত। কিন্তু ধর্মীয় তীর্থযাত্রী ও পর্যটক, পর্বতারোহীদের প্রিয় এ গন্তব্যস্থলের বাসিন্দারা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
২ জানুয়ারি ভোরে জোরালো একটি শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ ভোতিয়ালের (৫২) ঘুম ভেঙে যায়। তিনি লাইট জ¦ালিয়ে তার নবনির্মিত দোতলা ভবন ঘুরে দেখে ১১টি ঘরের মধ্যে নয়টির দেয়ালে ফাটল দেখতে পান। তার আতঙ্কিত যৌথ পরিবারের ১১ সদস্য দ্রুত ওই দুটি ঘরে আশ্রয় নেয় যেখানে ফাটলগুলো সুতার মতো ক্ষিণ। তারপর থেকে তারা এই দুটি ঘরেই আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়