প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন কর্মসূচি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীরা গতকাল রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো সব আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন। সকাল থেকে জেলার কোনো আদালতেই যাননি তারা। জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন আইনজীবীরা। এতে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর আগে গত বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত তিন দিনের জন্য সব কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।
এদিকে বিচারপ্রার্থীরা দূর-দূরান্ত থেকে এলেও আইনজীবীদের কোর্ট বর্জন ও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের ফিরে যেতে হয়। এতে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। জেলা আইনজীবী সমিতির এডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানান, কর্মসূচির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা না হলে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও উচ্চ আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ আইনজীবীকে তলবের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৭ জানুয়ারি উপস্থিত থেকে বিচারপতির বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালতে এসে রীতিমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আইনজীবীরা আদালতে না আসায় বিচারপ্রার্থী জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণে জেলা জজের কাছে দাবি জানান। আইনজীবীদের অভিযোগ, জেলা জজ ওই নাজিরকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন এবং জেলা জজের ইন্ধনেই বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সেজন্য তারা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়