সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল : শান্তিপূর্ণ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ

আগের সংবাদ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : নির্বাচনের আগে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে > উদ্ভট ধারণা প্রশ্রয় দেবেন না

পরের সংবাদ

হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত মাঠ : খর্নিয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াল লাভজনক সরিষা চাষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বিল ডাকাতিয়া, আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া চলতি মৌসুমে সরিষা চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ চলছে। হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত ফসলের মাঠ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় খর্নিয়া ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। দুটি ফসলের মাঝে কৃষকরা সরিষা চাষের ফলনকে বোনাস হিসেবে দেখছেন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এক সময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পুরোটাই পাল্টে গেছে। আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগাতে হয়। যা মাত্র ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অন্যতম একটি তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের নাম সরিষা। সরিষা চাষ খুবই লাভজনক একটা আবাদ। অতি অল্প সময়ে, অল্প পুঁজিতে কৃষকরা লাভবান হন, তাই অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে সরিষা আবাদ করতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। যদি সঠিকভাবে পরিচর্চা করা যায় তাহলে প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা।
এ ব্যাপারে চাষি হালিম ভোরের কাগজকে জানান, দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে দেড় হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সরিষার ফুলে ক্ষেত ভরে গেছে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৫-৬ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। ইউনিয়নের বিল ডাকাতিয়া এলাকার গ্রামের কৃষক আফসার মিয়া জানান, আমন ধান কাটার পর দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। আশা করছেন বেশ ভালো ফলন হবে। এই সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে।
টিপনা গ্রামের কৃষক পরিতোষ রাহা বলেন, ধান আবাদে কোনো লাভ নেই, উৎপাদন খরচই উঠে না। সরিষা আবাদে খরচ কম লাভ বেশি। এক থেকে দুবার সেচ দিলেই চলে। বাজার দর ভালো হলে এক মণ সরিষা ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এ কারণে আমি আর ধান আবাদে যাচ্ছি না। এক মণ ধান ৬০০ টাকা আর এক মণ সরিষা ১ হাজার ৭০০ টাকা। ধান কেন আবাদ করতে যাব?
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, সরিষা মূলত একটি মসলা জাতীয় ফসল। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, যাতে কৃষকের কোনো সমস্যার না হয়। আশা করছি প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না ঘটলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়