ইউনেসকোর প্রতিবেদন : দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ বহন করে পরিবার

আগের সংবাদ

তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন

পরের সংবাদ

মেয়র আতিকের হুঁশিয়ারি : খোলা ড্রেন ও খালে পয়ঃবর্র্জ্য সংযোগ পেলে ছাড় নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস (খোলা) ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান-২ এ ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে সারফেস ড্রেন থেকে দুটি বাড়ির পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সময় সারফেস ড্রেনে ও খালে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র আতিক।
গতকাল বুধবার দুপুরে গুলশান-২ এর ১০৪ ও ১১২ নম্বর রোডের দুটি বাড়ির সামনে ড্রেনে কলাগাছ দিয়ে সারফেস ড্রেন থেকে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে আজ থেকে আমরা এই অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে আমরা এই তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। সারফেস ড্রেনে ও খালে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ পেলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। কোনোভাবেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না। মেয়র আরো বলেন, পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ কোনোভাবেই সারফেস ড্রেনে দেয়া যাবে না। এই বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই বারবার সচেতন করে আসছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি। সোসাইটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে আমরা জানিয়েছি যেন পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে না দেয়া হয়। বারবার বলার পরেও কেউ কর্ণপাত করছে না।
মেয়র বলেন, আমরা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় সরজমিন জরিপ করেছি। এতে দেখা গেছে, প্রায় ৮৫ শতাংশ বাড়িতেই পয়ঃবর্জ্যরে লাইন সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। এমনকি অনেকে চোরাই পথে সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যরে লাইন দিয়েছে। অভিজাত এলাকায়ই এত সমস্যা, এটি আতঙ্কজনক। এতে খাল ও লেকের পানি দূষিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আমি কলাগাছ দিয়ে ড্রেনের সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছি। এর ফলে ময়লা ব্যাক ফ্লো করবে। এখন বাড়ির মালিকরা সচেতন হতে বাধ্য। শহরকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে এসব সংযোগ বন্ধ করেছি। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির দ্বিগুণ সুয়ারেজ বিল নিলেও কাক্সিক্ষত সেবা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
পয়ঃবর্জ্যরে কারণে লেকগুলোর পানি দূষিত হয়ে গেছে উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, লেকে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। মশা নিধনে ন্যাচরাল সলিউশন সম্ভব হচ্ছে না। মাছ চাষ করতে না পারার কারণে। গুলশান সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটি আমার কাছে এসেছে, তারা সময় চেয়েছিল ৩ মাস। আমি তাদের ৬ মাস সময় দিয়েছি। কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা ড্রেন ও খাল আর দূষিত হতে দেব না।
উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে নিজ বাড়িতে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসিয়েছেন বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়