ঢাবিতে পর্দা নামল নন-ফিকশন বইমেলার

আগের সংবাদ

কালো মানিকের জন্য শোকার্ত বিশ্ব

পরের সংবাদ

অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ : পিকেএসএফকে ২৩ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে ইইউ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রায় ২ দশমিক ১৫ লাখ অতি দরিদ্র খানার টেকসই উন্নয়নে ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল – ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
গতকাল রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওস্থ পিকেএসএফ ভবনে পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি এবং ঊট উবষবমধঃরড়হ ঃড় ইধহমষধফবংয-এর ঐবধফ ড়ভ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ গৎ গধঁৎরুরড় ঈরধহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুদান চুক্তির আওতায় ইইউ পিকেএসএফকে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২২ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ইউরো অনুদান প্রদান করবে।
দেশের অতি দারিদ্র্যপ্রবণ ১২টি জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২,১৫,০০০টি অতি দরিদ্র খানাভুক্ত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে প্রকল্পটি সহায়তা প্রদান করবে। সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিত করাই প্রকল্পের লক্ষ্য।
উত্তর-পশ্চিমের নদীতীরবর্তী বন্যাপ্রবণ অঞ্চল (যেমন- রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলা), দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততাপ্রবণ অঞ্চল (যেমন- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা), উত্তর-পূর্বের হাওরাঞ্চল (যেমন- কিশোরগঞ্জ জেলা) এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু নির্বাচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অতি দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি কাজ করবে।
প্রকল্পটি জীবিকায়ন ও উদ্যোগ উন্নয়ন, পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ, জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করবে। প্রকল্পের খানাগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীপ্রধান খানা, বিধবা ও স্বামীপরিত্যক্তা নারী, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত খানা এবং শিশুশ্রমে নিয়োজিত খানা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও, ভূতপূর্ব ডিএফআইডি) এবং ইইউ এর যৌথ অর্থায়নে ২০১৯ সালে চচঊচচ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে প্রকল্পের চার বছরের মাথায় এফসিডিও প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর প্রকল্পের অপর উন্নয়ন সহযোগী ইইউ বর্ধিত তহবিলের যোগান দিয়ে চচঊচচ-ঊট শীর্ষক প্রকল্পটি আরো তিন বছর অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পিকেএসএফের সঙ্গে পৃথক দুইটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়