স্থায়ী কমিটি : স্টেডিয়ামে নারীদের খেলার পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশ

আগের সংবাদ

দফায় দফায় বাড়ছে ওষুধের দাম : দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ক্যাবের, দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ রোগে ভুগে মারা যাবে

পরের সংবাদ

শীতের হাওয়া ডালে ডালে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাওয়ার মৃদু কাঁপুনি জানান দিচ্ছে, বাংলাদেশে শীত আসছে। ভোরের হাওয়া জানান দিয়ে যাচ্ছে, শীত কড়া নাড়ছে দরজায়। মৌসুম বদলের এই সন্ধিক্ষণটা মরচে পড়া মনে ছোটবেলাটা হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে। আর মুহূর্তে তাজা হয়ে ওঠে সে। আগে শীত এলেই কেমন একটা সাজো সাজো রব উঠত। কাঁথা-কম্বল বেরোত খাটের তলার ট্রাঙ্ক থেকে, খেজুর রসের হাঁড়ি নামিয়ে দিয়ে যেতেন মোতালেব চাচা। শীতের রোদে পিঠ বিছিয়ে, পা ছড়িয়ে, উলের গোলা লুটিয়ে সোয়েটার বুনতে বসতেন ঠাকুমা-দিদিমারা। রান্নাঘরে নতুন চাল আর নতুন গুড় নিয়ে চলত গবেষণা। কারো হেঁশেলে নকশি পিঠে, কোথাও মুগ পাকন, পাটিসাপটা, দুধপুলি…। সেই শীতই ঘুরে আসে প্রতিটি বছর… দেখতে দেখতে বছর ঘুরে শুরু হয় নতুন বছর। বাংলাদেশে শীতের আয়ু বড়জোর দেড় মাস। বাংলাদেশের আবহাওয়ার ইতিহাস বলছে, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের উত্তরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড দেশের নিম্নতম তাপমাত্রার রেকর্ড। আর ঢাকার নিম্নতম তাপমাত্রা ১৯৫৩ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি। কিন্তু সে শীত এখন কোথায়? ‘শীত নেই, শীত কোথায়!’- এমন মন্তব্য-প্রতি মন্তব্যে ফেসবুকেও এই মাঝ ডিসেম্বরের তুমুল তর্ক হতে থাকে। গোটা বাংলাদেশ জুড়েই শীত নিয়ে থাকে হা-হুতাশ! নলেনগুড়ে স্বাদ আসে না, শীতকালীন ফুল সেভাবে ফোটে না। লেপ, কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেট সব বাক্সবন্দি থেকে যায়। লেপের ওম না শরীরে পৌঁছলে শীতের উপস্থিতি অনুভূত হয় না।
কাব্যে শীতকাল যতটা বন্দিত, লেপ ততটা নয়। সুকুমার রায়ের ছড়ায় পাই ‘শিমুল তুলো ধুনতে ভালো’ ছাড়া কবিতায় লেপের উপস্থিতি বড় কম। ভাস্কর চক্রবর্তী শীত শীত করে কবিতায় শীত ব্র্যান্ড চালু করে দিলেন, ‘শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা’ (১৯৭১) লিখে। কিন্তু তিনিও লেপ নিয়ে উদাসীন। কিন্তু আমাদের ছোটবেলায় শীতের দুপুরের নীরবতা ভেঙে যেত একটানা ধুনুরির শব্দে। বেশ ছন্দে বাজত ‘ধোনাই যন্ত্র’। ধুম ধক্কার ধুম ধক্কার। তৈরি হতো লাল শালুর শিমুল তুলার লেপ। এই লেপ বোনাইয়ের দল ঘুরে বেড়াত গ্রামে, শহরে মফস্বলে। হাতে ধোনাই যন্ত্র, ডগার দিকে ক্রমেই ছুঁচলো হয়ে যাওয়া বাঁশের চকচকে একটা লাঠি থেকে ঝুলন্ত লাল কাপড়ের পুঁটলি। তার মধ্যে পাট করে সাজানো লেপ তৈরির হালকা কাপাস কিংবা বালিশ তৈরির শিমুল তুলা। সঙ্গে নানা ধরনের লাল ‘শালু’ কিংবা ‘বাঁদিপোতার’ সস্তা খোপকাটা কাপড়। হেমন্তের হিম হিম সকালে বাড়ির ছাদে কিংবা উঠানে স্তূপাকার তুলা ধুনে সুরেলা শব্দে মিহি রোঁয়া উড়লেই বোঝা যেত শীত আসছে।
আমাদের ছেলেবেলায় হাড় কাঁপানো শীত এলেই বেশ সকালে রোদে পিঠ দিয়ে মায়ের শেখানো ছড়া জোরে জোরেই আওড়াতাম
‘শীত আমার মিত আর আগুন আমার ভাই
শীতের কাছে কই যে মোগোর ল্যাপকম্বল নাই।’
গলির মুখে শুনতাম ‘র-অ-অ-স, অ-স’। বাঁকে মাটির হাঁড়িতে করে খেজুরের রসওয়ালা বাড়ির সামনে এসে হাঁড়ি নামাত। বাড়ির বড়রা ছুটে আসত। প্রতি হাঁড়ির একচুমুক দুচুমুক খেয়ে নিদান দিতেন কোন হাঁড়ির রস এ বাড়ির ছেলেপেলেরা খাবে। তখন কারণটা বুঝি নি। সামান্য বড় হতেই বুঝেছিলাম, রসের হাঁড়িতে বালক কিশোরের দল রস খেয়ে বদকম্মো করে আসত। কাজেই রসের স্বাদ নোনতা হওয়া চলবে না। একবার মনে হয়েছিল বাবাকে জিজ্ঞাসা করি, তোমরা জানলে কী করে? তোমরাও কি করতে? শীতের মধ্যে গরম হয়ে যাওয়ার ভয়ে সাহস করে জিজ্ঞাসা করিনি। কিন্তু সেই তারিয়ে তারিয়ে খেজুর রস খাওয়ার মধ্যে দিয়েই শীতের সকাল শুরু হতো।
শীত সকালের খাবার মানেই ছিল হরেক পিঠার রসাস্বাদন। শহরে, গ্রামে- সবখানেই শীতের গরম ভাপা-চিতইসহ হরেক পিঠাপুলির ধুম। আমার মায়ের হাতের ভাপা-চিতই সত্যি নিপুণ কারিগরের মতোই। স্বাদেও কমতি নেই। সুস্বাদু, নরম, গরম। আহ, শীতের সকালে গরম পিঠে পাওয়া সে এক আনন্দ বটে। তখন মায়েরা সেই সাতসকালে হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যে পিঠার আয়োজন মহানন্দেই করতেন। এখনও অনেকে শখের বশেই বাড়িতে শীতের পিঠা বানান। আবার শীতের পিঠা মেলাও হয় অনেক। সেও অনেক আয়োজন নিয়েই, শীতপিঠা উৎসবের সমারোহ। উপচে পড়া ভিড়ের ভেতর পিঠের মনোহারি প্রদর্শনের উৎসব। কিন্তু গুঁড়ে মাখিয়ে হুম হুম করে পিঠা খাওয়া ছিল বিস্তর মজার।
সে সময় শীতের শুরুতে পরীক্ষা শেষ। ডিসেম্বরজুড়ে ছুটি। জানুয়ারিতেও ক্লাস বড় একটা হতো না। পাড়ায় পাড়ায় ক্রিকেট। দিনভর। কত যে গাভাস্কার, বিশ্বনাথ, চন্দ্রশেখর, বেদী পয়দা হতো পাড়ায় পাড়ায় তার ইয়ত্তা নেই। পঞ্চুখুড়োর জানলার কাঁচ ভেঙে হুলুস্থুল। পুষ্পমাসীর ফুটন্ত ডালে কেম্বিস বল পড়ে পাড়াজুড়ে ভয়ংকর হুল্লোড়। লাল বাড়ির ব্যালকনিতে বল ফেলার তুমুল চেষ্টা থাকত আমাদের। বল পড়লেই ফর্সা মেয়েটি বল ছুড়ে ফেরত দেওয়ার সময় বলত, এই নাও তোমাদের বল, কে মেরেছে এই ছয়টা? মুহূর্তে ব্যাটসম্যান হিরো। হাতের ব্যাটটা অল্প উঠিয়ে প্রত্যাভিনন্দন জানানোর পালা। তাকে আর পায় কে! এ গলির সঙ্গে ও গলির ম্যাচ। দুপুরের লাঞ্চ আলুর দম পরেটা আর নারনা সাহার দোকানের বোঁদে। তাও জোগাড় হতো কাউকে টুপি পড়িয়ে। বদি’দা পার্মানেন্ট আম্পায়ার। না যেতে চাইলে হাতে ধরাতে হতো এক প্যাকেট নম্বর টেন সিগারেটের প্যাকেট। তাও অবনী’দার দোকান থেকে বাকি করে।
এলাকার একপ্রান্তে তখনও ধানচাষ হতো। ধান উঠে গেছে। ধানক্ষেতগুলো ময়দান। সার্কাসের দল ভাড়া করল সেই ময়দান। নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিল। হাতি এলো, ঘোড়া এলো, কয়েকটা হাড় জিরজিরে বাঘ ভাল্লুকও এলো। গ্যালারি বসল, বসল চেয়ার। বেশ কিছু কচি কচি মেয়ে এলো। তারা সকালে প্র্যাকটিস করে। দুপুর থেকে শো। পাড়ার ভুতোকাকুরা নাকি হিড়িক মারতে গেছিল, সুবিধা হয়নি। কুকুর নাকি তাদের বেশ অপদস্ত করেছে। সে জন্য মালিক তাদের বেশ কয়েকটা ফ্রি পাস দিয়েছে। বহু খোসামোদ করে গা পিঠ মালিশ করে আঙুল ফুটিয়ে দিয়ে একটা করে পাস ম্যানেজ করলাম আমি আর নালু। যথাসময়ে হাজির হলাম শোয়ে। তীব্র আলো, কান ফাটানো মিউজিক দিয়ে শো শুরু। সেই গান মেরা নাম জোকার। রাজ কাপুরের ঢঙে। রঙিন মেয়েরা এলো খলবলিয়ে। দিনে দেখা নেপটি চেপটি সন্ধ্যায় বিশ্বসুন্দরী। তাঁবুটার আচ্ছাদন বড় পাতলা। মাথায় হিম পড়ছে। সঙ্গে আনা চাদর মুড়ি দিয়ে নিয়েছি। আমার বয়সি মেয়েটি যে শরীর বাঁকিয়ে চুড়িয়ে দারুণ দারুণ মাদারির খেল দেখাচ্ছে, আমার মনে হচ্ছে এই ঠাণ্ডায় তাকে গিয়ে বলি তুমি আমার চাদরের ভেতরে এসো, কী দরকার এত কষ্টের!
১৯৭১ সাল। কলকাতার ৭০ মাইল পরেই যুদ্ধ চলছিল। আমাদের বাড়ি বর্ডারের কাছেই। সামনের মাঠে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প। সকাল থেকেই ওদের লেফটরাইট, কুইক মার্চ। ওপার থেকে ভেসে আসছে মুহুর্মুহু মেশিনগান আর গোলাবর্ষণের আওয়াজ। মুক্তিবাহিনীর দাদাদের ক্যাম্পের বাইরে বেরোনর হুকুম নেই। আমরা তখন আট-নয় বছর বয়সি। আমাদের যাতায়াত নিয়ে ভারতীয় সেনারা কোনো আপত্তি করত না। ওদের বিড়ি-সিগারেট আমরা সাপ্লাই করতাম। বাবা-কাকারা কিনে পাঠাতেন। সেবার বর্ষা থেকেই শুনছিলাম জলকাদা মাঠে মুক্তির ‘পোলারা’ নাকানি চোবানি খাওয়াচ্ছে পাক পাঞ্জাবীদের। বর্ডার ক্রস করে যাচ্ছে আর বিশালদেহী পাঞ্জাবীদের ডেরায় বোমা ফেলে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তেই। ফিরে আসছে এপারে রসদ আর গোলাবারুদের জন্য। বর্ডারজুড়ে শুধু সারি সারি ক্যাম্প। রিফিউজিরা এখানে অপেক্ষায় যুদ্ধ থামার। ভলান্টিয়াররা ব্লিচিং ছড়াচ্ছে প্রতিদিন, ক্লোরিন মেশানো পানির ব্যবস্থা করছে, খিচুড়ি বণ্টন করে চলেছে তুমুল উৎসাহে। সে এক মানবেতর জীবন। ক্যাম্পে কোনো ধর্ম নেই। হিন্দু সমবয়সির গায়ে পা তুলে ঘুমোচ্ছে মুসলমান বালক। জড়াজড়ি করে শুয়ে আছে হরিপ্রিয়া দাসী ও সালমা খাতুন। কেউ স্বামী হারিয়েছেন, কেউ পুত্র আবার কেউ বা সব। ততদিনে মুজিবনগর সরকার তৈরি হয়ে গেছে, অ্যালেন গীনসবার্গ সেপ্টেম্বর ইন যশোর রোড লিখছেন, ইন্দিরা গান্ধী দেশে দেশে ঘুরছেন পাক রিরংসার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে, শেখ মুজিব অন্তরীণ তার খোঁজ কেউ জানে না। খবর এসেছে ঢাকা কালীবাড়ি, রমনা কালীবাড়িসহ সব হিন্দু ধর্মীয় আঙ্গিনা পাক হানাদারেরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। রফিকদা, মহসীনদা, প্রভাতদা যুদ্ধে গিয়ে ফেরেননি। শহীদ হয়েছে। শীত আসতে আসতেই শুনি যুদ্ধ বেঁধেছে। ভারত-পাকিস্তানের। সারি সারি ভারতীয় গাড়িভর্তি সৈন্য চলেছে যুদ্ধে। মুক্তির পোলাদের অনেককে তারা নিয়েছেন। অনেককে ক্যাম্পেই রেখে গেছেন। তুমুল শীতের শুরুতেই শুনছি যশোর মুক্ত হয়েছে। ক্রমে ক্রমে সারা বাংলাদেশ। যুদ্ধে জিতে তৈরি হলো নতুন বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বন্দিদের আনা হতো প্রথমে আমার বাড়ির সামনে ক্যাম্পে। কী বিরাট চেহারা তাদের। এদের হারিয়েছে এই মামুন, মোতালেব ভাইয়েরা? বিশ্বাস হতো না। কিছুদিনের মধ্যে সব ফক্কা। মামুন, মোতালেব ভাইয়েরা ফিরে গেলেন দেশে। ভারতীয় ক্যাম্পও উঠে গেল। চারিদিক খালি। মন খুব খারাপ হয়ে থাকত। একদিন খালি মাঠের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল। বাবা দেখে বললেন। ‘দুঃখ করিস না। তুই কত কাছের থেকে মুক্তিযুদ্ধ দেখলি। তাজউদ্দীন, ইন্দিরাকে দেখলি। যোদ্ধাদের সঙ্গে মিশলি। তুই যখন বুড়ো হয়ে যাবি, কতজনকে এই বীরত্বের কাহিনী বলতে পারবি।’ বাবা, আমি বলতে তো চাই, কিন্তু শোনে কে? বাংলাদেশ কি আজও একাত্তরকে মনে রেখেছে? জানি না, তবে মামুন ভাইয়ের সঙ্গে মাগুরাতে আমার দেখা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ভালো ছিলেন না তিনি। এত যুদ্ধ করেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নাকি পাননি। অনেক কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছিলেন। বললেন, এবার হয়তো পাব, বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করছেন। হয়তো পেয়েছেন। তার জানাজা ওঠার আগে এটুকু আমিও চেয়েছি। তার সঙ্গে দেখা হওয়ার দিনও খুব শীত ছিল।
আগে ওরা আসত দলে দলে। এখন ওরা ঢাকায় ঢোকে না। অত্যাধিক পরিবেশ দূষণ, একের পর এক হাই রাইজ ও মোবাইলের টাওয়ারের জন্য শীতের ঢাকা থেকে একপ্রকার উধাও হয়ে যাচ্ছে পরিযায়ী পাখি। সাইবেরিয়ান ক্রেন, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, রাফ, ব্যাক উইংড স্টিল্ট, কমন টিল, পেলিকান, স্টারলিং ব্লু থ্রোট দেখতে দেখতে শীতকালে ছাদের রোদ সরে গেলে সবাই মাঠে কিংবা পদ্মা নদীর তীরে সোপানগুলিতে গিয়ে বসে অস্তগত সূর্যের নরম আঁচ নিতে চায়। স্রোতস্বিনী পদ্মার জলে ভেসে চলা নৌকা, ওপারে রাস্তায় হু হু করে চলা গাড়ি, কলকারখানার চিমনি বেয়ে ওঠা কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া, টুপ করে ডুবে যাওয়া লাল বলের মতো সূর্য, আর আকাশে রেখে যাওয়া তার আবিরের রেখা মুছে সন্ধ্যে নামে শীতের ঢাকা ফিরে যায় তার তিলোত্তমা রূপে। দূরে নিওন বাতির বিজ্ঞাপনে জ্বলে নেভে বিজ্ঞাপনের ক্যাচলাইন- ভালো আছ বাংলাদেশ?

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়