মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

ভরা মৌসুমেও চড়া দাম শীতের সবজির

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। শীতের সবজিতেও ফেরেনি স্বস্তি। শুধু মুলা ও পেঁপের দাম কিছুটা কম, অন্য প্রায় সব সবজির দাম চড়া।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। যদিও দোকান ভাড়া, আমদানি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিকে দাম বাড়ার কারণ বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।
যাত্রাবাড়ীর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা শাহীন বলেন, পেঁপে ৩০ আর মুলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনাবেচা চলছে। মৌসুমি সবজি ছাড়া অন্যান্য সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আসা অনেক সবজির কেজি ১০০ টাকা বা আরো বেশি। সেসব কেনার সাধ্য অনেকেরই হচ্ছে না।
সেগুনবাগিচা বাজারে কথা হয় নির্মাণশ্রমিক কফিল উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েকজন মিলে এখানে একটি ভবনে থাকছি। নির্মাণকাজ চলছে। অতিরিক্ত দামের কারণে মাছ-মাংস তো কেনাই দায়। শীতকালীন নানা পদের সবজি যে খাব, সেই অবস্থাও নেই। শুধু মুলা আর পেঁপে খেয়ে চলছে।
এদিকে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষারোপ করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের, আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোকাম বা স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ার অজুহাত দিচ্ছেন। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়, দোকান ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধিকেও সামনে আনা হচ্ছে।
বাজারে একটি বড় সাইজের ফুলকপি এখন ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ও চালকুমড়াও বিক্রি হচ্ছে একই দামে। বরবটি, করলা, বেগুন, কচুমুখী, কাকরোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাকা বা আমদানি করা টমেটোর কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
এদিকে বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চাল, তেল, আটা, ময়দা ও চিনির দাম। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোটা চালের দাম না বাড়লেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে চিকন চালের দাম। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি চিকন চালের কেজি ৩ টাকা বাড়িয়েছে, তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায়। মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়। মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৩ টাকায়। যদিও বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, টিসিবির তথ্যের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্যাকেটজাত আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে, তা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত ময়দা ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৭ নভেম্বর থেকে সয়াবিন তেল ও চিনির দাম আরো বেড়েছে। এখন সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
আগের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১২ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি কেজিতে ১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১০৭ টাকায়। বাজারে নির্ধারিত দামে তেল পাওয়া গেলেও চিনি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বাজারভেদে চিনির কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়