ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন ২ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

ভিত্তিহীন গুজবে ব্যাংকিং খাত > ব্যাংকে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে : বাংলাদেশ ব্যাংক

পরের সংবাদ

আজ রাজাপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : আজ ২৩ নভেম্বর রাজাপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে ঝালকাঠির রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয়। বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে উড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
মূলত ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বরের পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরেও মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক বাহিনী সাধারণ নিরীহ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন থানার ঘাটে বেঁধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। লাশের গন্ধে ভারি হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস।
তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় হানাদাররা। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে রাজাপুর থানায় আক্রমণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে তৎকালীন থানা কমান্ডার কেরামত আলী আজাদের নেতৃত্বে প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করে। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় এতে যোগ দেন ৯নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমর। এ যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরসহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা। থানার ঘাটে যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, বর্তমানে তাদের স্মরণে সেইখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল ৯নং বরিশাল সাব সেক্টরের অধীনে। উপজেলার কানুদাসকাঠিতে সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমরকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। রাজাপুর উপজেলার সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহ-আলম নান্নু বলেন, ‘ওই দিন রাত ৪টায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এক যোগে চারদিক থেকে রাজাপুর থানায় আক্রমণ করি। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধ চলার পরে পাক পুলিশ ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। রাজাপুরের আকাশে উড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এ যুদ্ধে আমরা প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করি। সেই যুদ্ধে আমাদের দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরসহ অন্তত ১০ মুক্তিযোদ্ধা।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়