জামায়াত আমিরের ছেলেসহ দুজন ফের রিমান্ডে

আগের সংবাদ

জামায়াত-জঙ্গি নতুন সমীকরণ : দলটির আমির ডা. শফিকের ছেলে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য ও যোগসূত্র

পরের সংবাদ

ধারাবাহিক পতন অব্যাহত : পুঁজিবাজারে তীব্র হয়ে উঠছে ‘ক্রেতা সংকট’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের বেশি রয়েছে, সেগুলোর শেয়ারদর এখন ক্রমাগত কমছে। আর যেসব কোম্পানির দর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সেগুলোর দরই কমছে বেশি। তবে দাম কমলে শেয়ারের চাহিদা বাড়বে এমনটি নয়। ক্রেতা নেই বললেই চলে, এ কারণে লেনদেন নেমেছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ঘরে, গতিশীল পুঁজিবাজারে এক ঘণ্টাতেই এর চেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ, গুজব ও গুঞ্জনের প্রভাব পুঁজিবাজারেও। প্রতিদিন কমছে শেয়ারদর ও সূচক। আগের দুই দিন ১০০ পয়েন্টের পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমল ৩৫ পয়েন্ট। যা গত তিন মাসের সর্বনি¤œ অবস্থানে। দিন শেষে ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৮ পয়েন্টে। সূচক এর চেয়ে কম ছিল গত ১৪ আগস্ট, ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্ট।
সারা দিন লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রায় চার মাস আগের সেই দিন লেনদেন ছিল ৪৭০ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এদিন বেড়েছে ২৪টি কোম্পানির দর, কমেছে ৬১টি আর ফ্লোর প্রাইসে থাকে ২৩৪টি কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে। বাকি ৭০টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি।
গতকাল মোট যে লেনদেন হয়েছে অর্ধেক মাত্র ১০ কোম্পানির দখলে। শীর্ষ এই দশে লেনদেন হয়েছে ২৭০ কোটি ৯৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। ফ্লোর প্রাইসের বেশি আছে, এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোর দর কমেছে, তার মধ্যে বহুগুলোর পতনের হার ছিল অনেক বেশি। এর মধ্যে চারটি কোম্পানির দর কমেছে ৯ শতাংশের বেশি, দুটির ৮ শতাংশের বেশি, ৬টির ৭ শতাংশের বেশি, দুটি করে কোম্পানির ৬ ও ৫ শতাংশের বেশি, তিনটির দর কমেছে ৪ শতাংশের বেশি। আরো ৮টির দর কমেছে ৩ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে বেশি কমেছে, এমন কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর গত ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছিল। সবচেয়ে বেশি ৯.৯২ শতাংশ কমেছে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৩৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকা হয়ে যাওয়া লাভেলো আইসক্রিম। এই পতনে দর নেমে এসেছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এডিএন টেলিকমের দর কমেছে ৯.৮৮ শতাংশ। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৪ টাকায় উঠে গিয়েছিল। বর্তমান দর ১১২ টাকা ২০ পয়সা।
৫৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৪৭ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যাওয়া ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর এখন নেমে এসেছে ৯২ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে এসেছে। এটির দাম কমেছে ৯.৭২ শতাংশ। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিস্ময় জাগানো ওরিয়ন ফার্মা দর হারিয়েছে আরো ৯.১২ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইসে ৮১ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে গিয়ে এরপর কমতে কমতে দর দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৭০ পয়সায়। একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মা দর হারিয়েছে ৮.৪৫ শতাংশ।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৪৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়ে যায় ৩৯৩ টাকা। বিনিয়োগকারীর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ২০ পয়সা। ৩১ জুলাই ১৬৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে টানা বেড়ে পেপার প্রসেসিংয়ের দর উঠে গিয়েছিল ৩৩৯ টকো ৪০ পয়সায়। ৮.৩৭ শতাংশ কমে দর দাঁড়িয়েছে ২১০ টাকা ২০ পয়সায়। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার দর হারিয়েছে ৭.৮০ শতাংশ। দর স্থির হয়েছে ৪১ টাকা ৪০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা হয়ে গিয়েছিল। সোনালী পেপার দর হারিয়েছে ৭.৪৩ শতাংশ।
এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৬৩০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৬৫ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯২ টাকা ৬০ পয়সায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়