কেন্দ্রীয় ব্যাংক : ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে

আগের সংবাদ

মাদকের টাকায় অস্ত্রের মজুত : মিয়ানমার সীমান্তে বেপরোয়া আরসা, আল ইয়াকিন > রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতার পেছনেও এরাই

পরের সংবাদ

‘মস্তিষ্কে চরিত্রটা তৈরি হয়’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিনেত্রী জয়িতা মহলানবীশ। নিজেকে একজন থিয়েটার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কাজ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আর এস সৈকত
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমায় কীভাবে যুক্ত হলেন?
আমার কাছের ভাই কামরুল হাসান খান, যিনি আমাদের নির্মাতা কাইয়ুম ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। নির্মাতা কামরুল ভাইকে তার কাজের জন্য এরকম একটা চরিত্রের কথা জানান। কামরুল ভাই আমাকে তা জানালে নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তিনি আমাকে স্ক্রিপটা পড়তে দেন এবং ভালো লাগলে জানাতে বলেন। চমৎকার গোছানো স্ক্রিপ্টটা পড়ে আমার মনে হয়েছে কাজটা করলে খুবই ভালো হবে। এভাবেই আমি শুধু অভিনয় না, সিনেমার সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত হয়ে গেলাম।

হাওর অঞ্চলে কাজের
অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
নির্মাতা হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন দৃশ্যধারণ করেছিলেন আগেই, সেগুলো দেখেছি। ভাষা শিখেছি, মানুষের জীবনাচরণ দেখেছি। স্ক্রিপ্ট ও নির্মাতার চাহিদামতো আমরা অভিনয়টা করতে পেরেছিলাম।

হল না পাওয়ার বিষয়টি
কীভাবে দেখছেন?
আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ বিষয়টি ধরেই নিই যে এ সিনেমাগুলো কিছু চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরবে, কোথাও প্রদর্শনী হবে এ পর্যন্তই। তবে নির্মাতাকে স্যালুট জানাই যে সাহস করে সিনেমাটিকে হলে নিয়ে গেছে। এটা দুঃখজনক যে সবাই মনে করে বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাই হলে চলবে, এর ব্যতিক্রম কিছু চলবে না। তবে এক বছরে এ ধারণার কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। এ পরিবর্তনই আমাদের সাহস জোগায়। এর মধ্যেই অনেক দর্শক সিনেমাটা দেখেছে, মন্তব্য করেছে যা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া।

চরিত্র গঠনে কীভাবে
প্রস্তুতি নেয়া হয়?
সব চরিত্র আমি স্ক্রিপ্ট আর পরিচালকের কাছ থেকে পাই। এ চর্চাটা থিয়েটার থেকেই আমার মধ্যে এসেছে। আমি একজন থিয়েটার কর্মী। বাস্তবের কিছু মানুষকে দেখে উপলব্ধি করতে হয় আর বাকিটা কল্পনা, মস্তিষ্কে চরিত্রটা তৈরি করতে হয়।

থিয়েটারের পাশাপাশি সিনেমার নির্দেশনায় আসার ইচ্ছা আছে?
অভিনয়টাকে আরো ভালোভাবে শেখার জন্য করোনার সময় দেশের বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সিনেমা বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিই। সেখানে কিছু ছোট ছোট নির্মাণে যুক্ত ছিলাম। এখনই অত বড় পরিসরে ভাবছি না কারণ আমার প্রথম কাজ অভিনয়, তবে ভবিষ্যতে নির্মাণের বিষয়টি ভাবতেও পারি।

কাজের ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
মঈন হাসান ধ্রæবর ‘দাহকাল’ ও সাইফুল ইসলাম মান্নুর ‘অনাবৃত’, এ দুটি সিনেমার কাজ শেষ। সামনে সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’, ফজলে রাব্বি মৃধার ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, একই নির্মাতার আরেকটি কাজ ‘মাথার ভেতর একটি আপেল গাছ’; সিনেমাগুলো আসছে। এছাড়া আমার দল থিয়েটার ’৫২ থেকে দুটি নাটক চলছে, আরো কিছু নাটকে অভিনয় করছি ও নির্দেশনা দিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়