হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজার চিত্র : ফ্লোর প্রাইসও ঠেকাতে পারছে না সূচকের পতন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ফ্লোর প্রাইসও এখন ঠেকাতে পারছে না সূচকের পতন। দুই সপ্তাহ আগে ফ্লোর ভেঙে শেয়ারগুলোর বের হয়ে আসার চেষ্টা শুরু হতে না হতেই থেমে গেছে। ফ্লোরের বেশি দর আছে, এমন কোম্পানিগুলোর সিংহভাগই এখন দর হারাচ্ছে, ফলে সূচক কমছেই।
গতকাল রবিবার বড় দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৫০টিরও বেশি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে পারছে না, এই অবস্থাতেও সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। গত ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইসে উত্থান শুরুর পর ২২ আগস্ট সূচক পৌঁছে ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট। এরপর তা আরো টানা বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে ৬ হাজার ৬০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায় সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। এরপর থেকে শুরু হয় টানা পতন।
বিপুলসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা না থাকার কারণে লেনদেনও কমছে। গতকাল যা নেমেছে সাতশ কোটির ঘরে, যা গত ১২ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনি¤œ। অথচ গতকাল লেনদেন শুরু হয় সূচক বাড়ার মধ্যে দিয়ে। শুরুতেই বাড়ে ২০ পয়েন্ট। কিন্তু প্রধানত ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশ কিছু কোম্পানির বড় দরপতনে সূচক কমতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। শেষ পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে। এর চেয়ে কম সূচক ছিল ৫৭ কর্মদিবস আগে গত ২২ আগস্ট ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টে।
গতকাল দর বেড়েছে ২৫টি কোম্পানির, কমেছে ৮৭টি। আর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ২৩২টি কোম্পানির শেয়ার। ৪৫টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৭২৪ কোটি ১৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ১২ কর্মদিবস আগে ২৬ অক্টোবর, ৭৪১ কোটি ৮০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এই লেনদেনও আবার ভারসাম্যপূর্ণ নয়। মোট লেনদেনের ৪৬.৫৫ শতাংশ হয়েছে কেবল ১০টি কোম্পানিতে। এই ১০ কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৩৩৭ কোটি ১২ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে ফ্লোর প্রাইসে থাকা ২৩২টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে কেবল ২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর সাড়ে তিন গুণ লেনদেন হয়েছে শীর্ষে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসে। এই কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
গতকাল সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে রেনাটার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে এই কোম্পানিটির শেয়ারদরে আসলে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণার কারণে সমন্বয় হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমেছে বিকন ফার্মার কারণে। শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বেক্সিমকো ফার্মার দর ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, ওরিয়ন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, সোনালি পেপার, ইউনিক হোটেল, জেএমআই হসপিটাল ও কোহিনূর কেমিক্যালের দরপতনে সূচক কমেছে। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। সি-পার্লের দর ৪ দশমিক ০২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। আর কোনো কোম্পানি সূচকে ১ পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি। মেঘনা পেট্রোলিয়াম সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
এর বাইরে সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে এডিএন টেলিকম, আমরা নেটওয়ার্কস, বিডি থাই ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, মনোস্পুল, বিডি ওয়েল্ডিং ও ন্যাশনাল টি। সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫ দশমিক ১০ পয়েন্ট। গতকাল লেনদেনে শীর্ষে ছিল প্রযুক্তি খাত। লেনদেন হয়েছে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়