হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা নেই : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সামনে ইরি ও বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত সার মজুত ও সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন- খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, মজুত রয়েছে। আবার বেসরকারিভাবেও খাদ্যপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। আমরা যদি হতাশ আর আতঙ্কিত হয়ে ৩-৪ গুণ বেশি পণ্য কিনে মজুত না করি তাহলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। গতকাল রবিবার কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির জন্য ‘হেলথ সার্টিফিকেট’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। পণ্যের স্বাস্থ্য সনদ প্রসঙ্গে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের সার্টিফিকেট দিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে রপ্তানির জন্য নিরাপদ খাদ্য দরকার। এখন আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত। আমরা যদি সব খাদ্য নিরাপদ করতে পারি তাহলে এত সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না। নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির জন্য নিরাপদ খাদ্যের একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে। যাতে করে সার্টিফিকেট নয়, আমাদের নাম শুনলেই বিদেশিরা যেন খাদ্যপণ্য আমদানিতে আগ্রহী হন।
নিরাপদ খাদ্য জন্মের শুরু থেকেই শুরু করা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উচিত যখন একটা শিশুর জন্ম হয় তখনই নামীদামি ব্রান্ডের গ্রুপ গুঁড়া দুধ না খাইয়ে অন্তত প্রথম ছয় মাস শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো। এতে করে শিশুর জন্মের পরই ভালো বিকাশ হবে। আর যদি বাজারের পণ্য খাওয়াই তাহলে ৪-৫ বছর গেলেই দেখা যাবে নানা রোগবালাই শিশুকে আক্রান্ত করছে। এভাবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। এতদিন খাদ্যপণ্য রপ্তানির জন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশ-বিদেশের ল্যাব থেকে পণ্যের গুনমান পরীক্ষা করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছে দিত, ওইসব পরীক্ষা-নীরিক্ষার সব কাজ এখন থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) নিজেই করবে। এতে করে একদিকে রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে পণ্যের মানের বিষয়েও আপস করার সুযোগ থাকবে না। জানা যায়, আমদানিকারক দেশের চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্যের ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট আনলে ইপিবি তা দেখে সার্টিফিকেট ইস্যু করত। যেসব রপ্তানিকারকের সার্টিফিকেট দরকার, বন্দর থেকে তাদের পণ্যের নমুনা এনে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদানের সবগুলো কাজই করবে বিএফএসএ।
তবে ল্যাব টেস্টে কোনো পণ্যে হেলথ হ্যাজার্ড পাওয়া গেলে তা আর রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে না।
খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে উনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএর চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাইউম সরকার, সদস্য আব্দুল আলীম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো-ইএসএল বাংলাদেশ লিমিটেড ও ট্রাস্ট এন্ড ট্রেড এম ইমপেক্স।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়