রিমান্ড শেষে মহিলা দল নেত্রী সুলতানা কারাগারে

আগের সংবাদ

দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না > সোহরাওয়ার্দীর জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী : যারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের মুখে ছাই পড়েছে

পরের সংবাদ

৩ লাখ পিস ট্যাবলেট জব্দ : ভেজাল ওষুধ বাজারজাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নামি-দামি কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ ভেজাল করে বাজারজাত করে আসছিলেন মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানা। কখনো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে, কখনো নিজে বহন করে এসব ওষুধ ফার্মেসিতে পৌঁছে দিতেন তিনি। গত বুধবার রাজধানীর মতিঝিল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।
ইকবালের কাছ থেকে এ সময় পেনটনিক্স ২০ এমজি ২৫ হাজার ৪৮০ পিস, সেকলো ২০ এমজি ৩৬ হাজার পিস, সারজেল ২০ এমজি ৯২ হাজার পিস, ফিনিক্স ২০ এমজি ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ পিস, লোসেক্টিল ২০ এমজি ৩৬ হাজার পিস ও ইটোরিক্স ৫ হাজার ৪শ পিসসহ সর্বমোট ৩ লাখ ৩ হাজার ৩৮০ পিস ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মতিঝিল ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনালের সামনে থেকে মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে একটি ওষুধের কার্টনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। কার্টনের ভেতরে কী আছে জানতে চাইলে সে ওষুধের কথা জানায়। কার্টন খুলে ভেতর থেকে ২৫ হাজার ৪৮০ পিস পেনটনিক্স ২০ এমজি ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে এসএ পরিবহন ইংলিশ রোড শাখা থেকে ২ কার্টন ভেজাল ওষুধ, ৩৬ হাজার পিস সেকলো ২০ এমজি উদ্ধার করা হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোডে তার ভাড়া করা গোডাউন থেকে বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির আরো ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পিস ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডিবি মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইকবাল নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের মো. আতিয়ারের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে সংগ্রহ করে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গোডাউনে সংরক্ষণ করত। পরবর্তী সময়ে সে নিজে ও বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে আসছিল। সে ২/৩ বছর ধরে এ কাজ করছে।
কুমিল্লা থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকায় ওষুধ পাঠাত। আবার নিজেই ঢাকায় এসে সেগুলো রিসিভ করত। জব্দ করা ওষুধ কোন ফার্মেসিতে বিক্রি করতে চেয়েছিল- এসব জানতে তাকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে দুদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়