পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

সংশোধন দীর্ঘ হলো পুঁজিবাজারে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে শুরু হওয়া দরপতনের মধ্যে মঙ্গলবার আশা জাগিয়েও পতনেই লেনদেন শেষ হয়। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না পুঁজিবাজার। সূচক পতনের মধ্য দিয়ে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনি¤েœ অবস্থান করছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্রোকারেজ হাউসে চেক জমা দিয়ে নগদায়নের আগে শেয়ার কেনা যাবে না বলে ১১ অক্টোবর বিএসইসির নির্দেশনা জারির পর পুঁজিবাজারে পতন হয়। ৩০ অক্টোবর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পর পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা যায়। পরের কর্মদিবস ৩১ অক্টোবরে সূচক ছিল ৬ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। সেখান থেকে ৬ নভেম্বর সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ এই ৪ কর্মদিবসে সূচকে যোগ হয় ১০৮ পয়েন্ট। চেক নগদায়ন ইস্যুর শেষ না হতেই বাংলাদেশ সফরে থাকা আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠককে নিয়ে জল ঘোলা হতে থাকে। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারের কোনো রকম বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনি¤œ মূল্যস্তর স্বাভাবিক বাজারের পরিপন্থি। ফলে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার জন্য আইএমএফ চাপ দিতে পারে বলে আলোচনা হতে থাকে। যদিও বিএসইসি থেকে জানানো হয়, আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে নেই ফ্লোর প্রাইস। তারপরও সেই উৎকণ্ঠায় বৈঠকের দিন সোমবার সূচকের ২২ পয়েন্ট পতনে লেনদেন হয়। আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনো নেতিবাচক খবর না আসায় মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুটা হয়েছিল আশা জাগানিয়া, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাশ করে সূচক ৮ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়।
বিশ্লেষকরা জানান, কয়েক দিনের উত্থানের পর কিছুটা প্রফিট টেকিং হচ্ছে, যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকল বুধবারও। ৩৩ পয়েন্ট কমে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সংশোধন আরো দীর্ঘ হলো। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে, যা গত ৩১ অক্টোবরের পর সর্বনি¤œ। ওই দিন থেকে চার কর্মদিবসে ১০৮ পয়েন্ট উত্থানের বিপরীতে গত তিন দিনে সূচক কমল প্রায় ৬৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে যতগুলোর দর বেড়েছে, কমেছে তার তিন গুণের বেশি। ৩৪টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ১০৪টির। আর ২১৮টির লেনদেন হয় অপরিবর্তিত দরে, যার দুই-একটি ছাড়া সবই রয়েছে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনি¤œ মূল্যস্তরে। সূচকের সঙ্গে লেনদেনে ভাটা পড়েছে। হাতবদল হয় ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে পৌনে ৫০০ কোটি টাকা কম। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, বাজারে পতন হয়েছে কিছুটা গুজবের জন্য। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর কিছুটা হয়েছে প্রফিট টেকিংয়ের কারণে। কয়েক দিনের উত্থানে যারা লাভ করতে পেরেছেন, তারা মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়