কাগজ প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানিয়েছেন, ক্রমাগত ঋণের সুদ বেড়ে যাওয়ায় চিনিকলে খরচ ও লোকসান বেড়েছে।
সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে চিনিকলগুলো পরিচালিত হচ্ছে। যে কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও চিনিকলের লোকসান হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সরকারের কাছ থেকে আখ ও চিনির দাম নির্ধারণ করার কারণে অনেক সময় বাজারের চাহিদা ও ভোক্তাদের বিষয় বিবেচনা করে চিনির দাম কমানোর প্রয়োজন পড়ে।
কিন্তু আখের দাম স্থির থাকে। এতে লোকসান বেশি হয়। অন্যদিকে ফসলের বহুমুখীকরণের কারণে আখ চাষ কমে যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ উৎপাদন না হওয়ায় চিনিকলগুলোর লোকসান বাড়ছে।
একই প্রশ্নের জাবাবে তিনি সংসদকে জানান, উন্নত জাতের আখের জাত উদ্ভাবন না হওয়া, দক্ষ জনবলের অভাব এবং শ্রমনির্ভর কারখানা হওয়ায় চিনি আহরণের হার কমেছে।
এ সময় চিনি শিল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেননি তিনি।
আওয়ামী লীগের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে ইউরিয়া সারের মজুত (২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত) ৭ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নিরাপত্তা মজুত ৮ লাখ টনসহ সারের প্রয়োজন ২৫ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন। প্রয়োজনীয় ২৫ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন স্থানীয় কারখানার উৎপাদন ও বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।