প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : রুশ মহাকাশচারি আনা কিকিনা এখন মহাকাশের পথে। গত ২০ বছরে প্রথম রুশ মহাকাশচারি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) যোগ দিতে চলেছেন তিনি। পৃথিবীতে এখন ভয়াবহ এক সংঘাত চলছে। রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা তীব্রতর করেছে। রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে পশ্চিমা বিশ্ব। ঠিক এসময় মহাকাশে বন্ধুত্বের নিদর্শন হয়ে আইএসএসে যোগ দিচ্ছেন কিকিনা। সব জায়গায় রাশিয়া নিষিদ্ধ হলেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে এখনো পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করছে তারা।
ডয়চে ভেলের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত ২৫ বছর ধরে মহাকাশে গবেষণা করছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)। এই সময়ে একবারও রাশিয়া কেন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে- এমন প্রশ্ন ওঠেনি। এমনকি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরেও এর প্রভাব পড়েনি মহাকাশে। সেখানে এক হয়ে কাজ করছে দুই পক্ষ।
এর কারণ হচ্ছে, আইএসএস-এর মডিউলটি গড়ে উঠেছে মূলত দুটি অংশ নিয়ে। এর একটি অংশ তৈরি করেছে রাশিয়া আর অন্যটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার তৈরি করা অংশটি পরিচালনা করে রাশিয়া। সেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা অংশটি পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে পশ্চিমা দেশগুলো এ মুহূর্তে কার্যত রাশিয়ার সঙ্গে মিলে কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য। আরেকটি কারণেও আইএসএস থাকলে সেখানে রাশিয়াও থাকবে। মহাকাশকেন্দ্রটি যে কক্ষপথে থেকে খুব দ্রুত বিশ্বের চারিদিকে ঘুরছে তার মূল কৃতিত্ব কিন্তু রাশিয়ার। আইএসএস সেকেন্ডে প্রায় আট কিলোমিটার বেগে, অর্থাৎ ৯ মিলিমিটারের এক বুলেটের চেয়ে ২০ গুণেরও বেশি বেগে ছুটছে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।