টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব : করোনা কাটিয়ে ফিরছে জৌলুস

আগের সংবাদ

প্রাণঘাতী রূপে প্রলম্বিত ডেঙ্গু : ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ৫৬ জেলায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব জেলায়ই রোগী > ডেঙ্গু : সংক্রমণ

পরের সংবাদ

ই-বর্জ্যে কোটি কোটি সেলফোন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছর ৫৩০ কোটির বেশি সেলফোন রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য না করেই ফেলে দেয়া হবে। ফোরামের তথ্যানুযায়ী, এ পরিমাণ সেলফোন ফেলে দেয়ার কারণে তা বৈশ্বিকভাবে ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়াবে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে-
প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রনিক পণ্যের পুনর্ব্যবহারের বিষয়টিও মুখ্য হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়ত বর্জ্যরে পরিমাণও বাড়ছে। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইকুইপমেন্ট (ডব্লিউইইই) ফোরামের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর ৫৩০ কোটির বেশি সেলফোন রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য না করেই ফেলে দেয়া হবে। ফোরামের তথ্যানুযায়ী, এ পরিমাণ সেলফোন ফেলে দেয়ার কারণে তা বৈশ্বিকভাবে ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে পরিমাণ বাড়াবে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। গবেষকরা জানান, অনেক ব্যবহারকারী পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার পরিবর্তে পুরনো ফোন নিজের কাছে রেখে দেন। এসব কারণে বর্জ্যে পরিণত হওয়া ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে মূল্যবান খনিজ সংগ্রহ করা যায় না। যেমন তারে থাকা কপার কিংবা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে থাকা কোবাল্ট। গবেষকরা এগুলো সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছেন। ডব্লিউইইইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্যাসকেল লেরয় বলেন, ইলেকট্রনিক পণ্যে যেসব খনিজ থাকে সেগুলো মূল্যবান। বৈশ্বিকভাবে এর পরিমাণ খুবই বেশি। কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীরা সে বিষয়ে ততটা সচেতন নয়। বিশ্বে বর্তমানে ১ হাজার ৬০০ কোটির বেশি মোবাইল ফোন রয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বর্তমানে ব্যবহার হয় না। ২০৩০ সাল নাগাদ ওয়াশিং মেশিন, টোস্টার থেকে শুরু করে ট্যাবলেট কম্পিউটার ও গেøাবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ডিভাইসের কারণে প্রতি বছর ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে পরিমাণ ৭ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছাবে। ডব্লিউইইইর গবেষণায় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে এ ব্যাপকতার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে দ্য রয়্যাল সোসাইটি অব কেমেস্ট্রি নতুন পণ্য তৈরিতে ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে খনিজদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছিল। তবে বিশ্বজুড়ে চলমান সংঘাত, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ মূল্যবান ধাতুর সরবরাহ চেইনে বাধা তৈরি করছে বলে জানানো হয়। ডব্লিউইইইর ম্যাগডালেনা চ্যারিটানোভিজ বলেন, পুরনো এসব ডিভাইসে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যেগুলো নতুন ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার করা সম্ভব। এর মধ্যে উইন্ড টারবাইন, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি ও সোলার প্যানেল রয়েছে। সবুজ নির্ভর ও কম কার্বন নিঃসরণ পরিবেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক। বিশ্বের মোট ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে মাত্র ১৭ শতাংশ পরিপূর্ণভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়। তবে আগামী বছরের মধ্যে এ হার ৩০ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন। মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বর্জ্যরে মধ্যে ইলেকট্রনিক বর্জ্যকে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ও জটিল প্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেননা ইলেকট্রনিক বর্জ্যে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। ম্যাটারিয়াল ফোকাসের জরিপের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ১০ লাখের বেশি অব্যবহৃত কিন্তু কার্যকর ইলেকট্রিক্যাল পণ্য রয়েছে। সামগ্রিকভাবে যেগুলো প্রায় ৫৬৩ কোটি পাউন্ড সমমূল্যের। জরিপে আরো বলা হয়, যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ অধিবাসী তাদের বাড়িতে থাকা অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ২০০ পাউন্ড পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রিসাইক্লিং কেন্দ্র খুঁজে পাওয়াসহ বিভিন্ন টিপস দেয়। এ বিষয়ে লেরয় বলেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহের জন্য সুপারমার্কেটগুলোয় বাক্স সরবরাহ, নতুনগুলো সরবরাহ করার পরে ছোট ভাঙা যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা বেশকিছু উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়