হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

বরিশালে ১৭৬৬ মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি, কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দখিণের মৃৎশিল্পীরা। সেই সঙ্গে মন্দিরের সাজসজ্জাসহ সার্বিক কাজও চলছে এগিয়ে। বিভাগের ৬ জেলায় এ বছর এক হাজার ৭৬৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। গত বছর থেকে এবার মণ্ডপগুলোতে দুর্গাপূজার আয়োজন জমকালো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।
এদিকে পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো ধরনের কার্যক্রম হলে কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের। আবার পূজা উদযাপন পরিষদ থেকেও মন্দিরগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্র থেকে পাঠানো ২৬ দফার নির্দেশনা সব মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে। এ নির্দেশনা মেনেই সবাইকে পূজা উদযাপন করার অনুরোধ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সেচ্ছাসেবক নির্ধারণসহ মণ্ডপ ও মন্দিরের আঙিনার নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, বরিশাল জেলায় এ বছর মোট ৬০০ মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে বরিশাল মহানগরীতে ৪৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলায় নতুন ১১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এ বিশ্বাসে সব মিলিয়ে এবারের পূজায় কোনো কমতি থাকবে না বলে বলেন তিনি।
বরগুনা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন কর্মকার বলেন, এবার সব মিলিয়ে জেলায় ১৬১টি প্রতিমা গড়া হচ্ছে। জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজার আয়োজন করা হচ্ছে পাথরঘাটায়। ঝালকাঠির পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসীম কুমার সাহা জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৭২টি মণ্ডপসহ তাদের গোটা জেলার চার উপজেলায় ১৬৮টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বৃহৎ আকারে পূজার আয়োজন হওয়া পিরোজপুর জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুখরঞ্জন মাস্টার বলেন, জেলার সাত উপজেলায় ৫৩৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার মধ্যে নাজিরপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এ জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে আশা করি। অন্যদিকে ভোলায় ১১৬ এবং পটুয়াখালী জেলায় ১৮৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এদিকে পূজা উদযাপন কমিটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো ধরনের কার্যক্রম হলে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, পূজামণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিশ্চিত করা ও আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিসহ মনোনয়নকৃত ভলান্টিয়ারদের সজাগ থাকতে হবে এবং আমাদের মোতায়েনকৃত পুলিশসহ অন্য শৃঙ্খলাবাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বিএমপি কমিশনার বলেন, সাদা পোশাকে আমাদের পুলিশি টহল থাকবে। এছাড়া র‌্যাব-আনসার বাহিনীসহ অন্য সংস্থা নিয়োজিত থাকবে। তবে কোথাও কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। যত বেশি আপনারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন তত বেশি নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব।
এদিকে গোটা বিভাগজুড়ে পূজার সময় নিজ নিজ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে রেঞ্জ পুলিশ। পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে যে কোনো ধরনের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়