কোহলির সেঞ্চুরি : আফগানদের ওপর ঝাল মিটাল ভারত

আগের সংবাদ

ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ : উত্তর-পূর্বের সঙ্গে সংযোগে গুরুত্ব

পরের সংবাদ

এশিয়ার এলএনজি বাণিজ্য দখল করছে ইউরোপ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর উত্তরে রাশিয়া ইউরোপের দেশগুলোয় একের পর এক প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াচ্ছে ইউরোপ। শুধু তা-ই নয়, স্পট মার্কেট এলএনজি আমদানিতে নেতৃস্থানীয় এশিয়ার জায়গা দখল করে নিচ্ছে ইউরোপ।
বাজার পরিসংখ্যান এবং তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভ থেকে সংগৃহীত উপাত্তের ভিত্তিতে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, চলতি বছরের জুন-আগস্ট পর্যন্ত ইউরোপে এলএনজি আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে ভয়াবহ জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এ সংকটের কারণে আসন্ন শীতে ব্লকটির দেশগুলো বিদ্যুৎহীনতায় অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপের দেশগুলো গত বছরের জুন-আগস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানি করে। তবে চলতি বছরের একই সময় তা বেড়ে ৩ হাজার ৯১৪ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়া গত বছর ইউরোপ সব মিলিয়ে ৭ হাজার ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানি করে। অথচ চলতি বছরের আট মাসে আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬০০ কোটি ঘনফুটে। গত বছর বিশ্বজুড়ে এলএনজি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৮ কোটি টন। এর মধ্যে ৮ কোটি টনই আমদানি করেছে ইউরোপ।
বিশ্ববাজারে এলএনজি রপ্তানির ৭০ শতাংশই করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীনে। বাকি ৩০ শতাংশ স্পট মার্কেটে। এর আগে ইউরোপের দেশগুলো এতটা সক্রিয়ভাবে এলএনজি বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করেনি। তবে এ বছর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়টি অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে মোট ৬৪১টি এলএনজি জাহাজ ছিল। এর মধ্যে ৪৫টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এদিকে বৈশ্বিক এলএনজি জাহাজের বহরও দিন দিন বড় হচ্ছে। চলতি বছর এ বহর ৩০ শতাংশ করে বাড়বে। নতুন করে ২১৬টি জাহাজ নির্মাণাধীন। এসব জাহাজের কার্যক্রম শুরু হলে এলএনজি বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা জানান, চলতি বছরের গ্রীষ্ম মৌসুমে এশিয়ায় এলএনজি আমদানি গত বছরের তুলনায় লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। আমদানির পরিমাণ ৯ হাজার কোটি ঘনফুট থেকে কমে ৮ হাজার ৩০০ কোটি ঘনফুটে নেমেছে। প্রতি বছরই স্পট মার্কেট থেকে বিপুল পরিমাণ এলএনজি ক্রয় করে এশিয়ার ক্রেতারা। কিন্তু চলতি বছরের চিত্র ভিন্ন। বিশেষজ্ঞরা জানান, ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা বাড়ায় স্পট মার্কেট থেকে এশিয়ার এলএনজি ক্রয় কমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সব এলএনজি টার্মিনালের গড় বহন সক্ষমতা ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার ঘনফুট। এসব টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন সক্ষমতা রয়েছে ৯০১ টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়