ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

এফএওর প্রতিবেদন : খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম কমছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। ওই সময় মূল্যবৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। তবে এপ্রিল থেকে দাম কমতে শুরু করে। সর্বশেষ গত মাসেও খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম কমেছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ মাসের মতো দাম কমার ঘটনা ঘটল। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ¦ালানি তেল, খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল ও ধাতব পণ্যের সরবরাহ সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। রুশ সেনারা কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর অবরোধ করায় বন্ধ হয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি। যুদ্ধের প্রভাবে লজিস্টিকস সংকট, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, পরিবহন ব্যয়ের ঊর্ধ্বমুখিতাসহ নানামুখী প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
এফএও বলছে, জুলাইয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক ছিল ১৪০ দশমিক ৭ পয়েন্ট। কিন্তু আগস্টে সূচক কমে ১৩৮ পয়েন্টে নেমেছে। মার্চের রেকর্ড ১৫৯ দশমিক ৭ পয়েন্ট থেকে সূচক অনেকটাই কমেছে। যদিও গত বছরের আগস্টের তুলনায় এখনো খাদ্যপণ্যের দাম ৭ শতাংশ বেশি।
এফএওতে দানাদার খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। কূটনৈতিক চুক্তির কারণে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর খুলে যাওয়ায় খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বাজারদর নেমে আসে। পাশাপাশি উত্তর আমেরিকা ও রাশিয়ায় ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন দাম কমাতে সহায়তা করেছে। তবে গত মাসে ভুট্টার মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপের দেশগুলোয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে শুষ্ক আবহাওয়া শস্যটির উৎপাদন ও বৈশ্বিক সরবরাহে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
এ কারণেই মূলত দাম বেড়েছে।
এদিকে ভোজ্যতেল, চিনি, দুগ্ধপণ্য ও মাংসের মূল্যসূচক কমছে। বৈশ্বিক সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় এসব পণ্যের দাম কমেছে বলে এফএওর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দানাদার খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও চাহিদা প্রাক্কলনে এফএও বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়েছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াবে ২৭৭ কোটি ৪০ লাখ টন। গত বছরের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমবে। এর আগের পূর্বাভাসে ২৭৯ কোটি ২০ লাখ টন উৎপাদনের কথা বলা হয়েছিল। সে হিসেবে উৎপাদন কমবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়