এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

রপ্তানি প্রসারে সহজ শুল্কায়ন ও দ্রুত পণ্য খালাসের সুপারিশ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রপ্তানি প্রসারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন চুক্তি অনুসারে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ ও পণ্য খালাস দ্রুততর করার জন্য কর্মপদ্ধতি আধুনিকায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ ও ট্যারিফ যৌক্তিকরণ সংক্রান্ত সাব-কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালায় এ সুপারিশ করা হয়।
এ সাব-কমিটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বেলায় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গৃহীতব্য কার্যক্রম সম্পর্কে যে খসড়া সুপারিশমালা প্রণয়ন করেছে, তা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছে উপস্থাপন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় ‘কর সংক্রান্ত বিধিবিধান এবং পদ্ধতি সংস্কার’বিষয়ক স্টাডি গ্রুপ তাদের উপস্থাপনায় কর ব্যয় সংক্রান্ত গবেষণা সম্পাদনের মাধ্যমে কর অব্যাহতির অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে। রাজস্ব প্রশাসনে অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশনের ব্যাপ্তি বৃদ্ধির ওপরও বিশেষ জোর দেয়া হয়।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে যে চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে হবে তার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কাজে সহায়তার জন্য গঠিত বিষয়ভিত্তিক ৭টি সাব-কমিটির মধ্যে একটি হচ্ছে ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ ও ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ’ বিষয়ক সাব-কমিটি।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অংশীজনদের পক্ষে এফবিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমই সভাপতি ফারুক হাসান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের পক্ষে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়েক সেন ও পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার বক্তব্য রাখেন।
প্যানেল আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় ‘কর সংক্রান্ত বিধি-বিধান এবং পদ্ধতি সংস্কার’বিষয়ক স্টাডি গ্রুপ তাদের উপস্থাপনায় কর ব্যয় ট্যাক্স এক্সপেনডিচার সংক্রান্ত গবেষণা সম্পাদনের মাধ্যমে কর অব্যাহতির অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। রাজস্ব প্রশাসনে অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশনের ব্যপ্তি বৃদ্ধির ওপরও বিশেষ জোর দেয়া হয়।
‘ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ’বিষয়ক স্টাডি গ্রুপ যেসব সুপারিশ উপস্থাপন করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- যেসব পণ্যের ক্ষেত্রে আরোপিত কাস্টমস শুল্ক ডব্লিউটিও-এর বন্ড ডিউটি হার সীমা অতিক্রম করেছে সেগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক হার সীমার মধ্যে নিয়ে আসা, যেহেতু মিনিমাম ইমপোর্ট প্রাইস ব্যবস্থা ডাব্লিউটিও এগ্রিমেন্ট অন কাস্টমস ভ্যালুয়েশনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, সে কারণে আলোচ্য মিনিমাম ইমপোর্ট প্রাইসকে পর্যায়ক্রমে ফেইজ-আউট করা। পর্যায়ক্রমে আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য প্যারা-ট্যারিফ এবং সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করা।
সাবসিডিবিষয়ক স্টাডি গ্রুপ তাদের উপস্থাপনায় উল্লেখ করে, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে নগদ সহায়তা প্রদান করতে কোনো অসুবিধা না হলেও উত্তরণ পরবর্তী সময়ে শিল্পপণ্যের রপ্তানির ক্ষেত্রে তা প্রদান করা যাবে না। এছাড়াও বর্তমানে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা প্রাপ্ত খাতসমূহে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের যে শর্ত রয়েছে তা বাদ দিতে হবে।
স্টাডি গ্রুপ রপ্তানি প্রণোদনা প্রদান করে না এমন একটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি চিত্রের তুলনামূলক পর্যালোচনা করে দেখেছে, রপ্তানিতে নগদ সহায়তা না থাকলে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাবের মাত্রা কম হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়