প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : কোচিংয়ে না পড়লে ফেল করিয়ে দেয়া অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, কোচিংয়ের যে সমস্যা সেটি হলো, একজন শিক্ষক ক্লাসে পড়িয়েও আবার সেই শিক্ষার্থীদের তার কাছে কোচিংয়ে যেতে বাধ্য করেন এবং না পড়লে শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করেন। কোচিংয়ে না পড়লে ফেল করিয়ে দেয়া খুবই অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক তার ক্লাসের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। এ বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইভি রহমান পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সভার আয়োজন করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান আহত হন। ওই ঘটনার তিন দিন পর ২৪ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বেগম আইভি রহমান পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান খোকা, সদস্য মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
কোচিংয়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কোচিং দরকার হতেই পারে। অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমতো বাড়িতে পড়তে পারে না বা কোনো বিষয়ের জন্য একটু বেশি সময় দিতে হয়। আমাদের ক্লাসের সাইজগুলোও বেশি, যার কারণে শ্রেণিকক্ষে সব শিক্ষার্থীর দিকে সমান নজর দেয়া সম্ভব হয় না। আমরা চেষ্টা করছি একটি শ্রেণিকক্ষে সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী বসিয়ে ক্লাস করানোর। অনেক কারণেই কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। দেশি-বিদেশি অনেক পরীক্ষার জন্য কোচিং করতে হয় শিক্ষার্থীদের। অন্যান্য দেশেও কিন্তু কোচিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন রোডের নন্দন রোকেয়া নামের ১২ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে হলিক্রস কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহা। এরপরই অভিযোগ ওঠে গণিত বিষয়ে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় পরীক্ষায় ফেলের অপমান সইতে না পেরে পারপিতা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে গত এপ্রিলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট না পড়ায় পিটিয়ে মাহিয়া রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দেয়া হয়। সে ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ প্রধান শিক্ষক আলী হাসান।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।