ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি : রিমান্ড শেষে বিকাশ পরিবহনের চালক কারাগারে

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

পরের সংবাদ

আশ্বাস

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১, ২০২২ , ১:২০ পূর্বাহ্ণ

মানুষ অবাক। মান্নান চেয়ারম্যান এতটা বদলে গেলেন কীভাবে। যে সারাজীবন গরিবের ত্রাণ চুরি করে খেয়েছেন। তিনি কিনা আজ নিজে এসে ত্রাণ দিচ্ছেন, তাও আবার নিজের টাকায়। মানুষের মুখে হাসি ফোটে। অন্তত এই দুঃসময়ে চেয়ারম্যান পাশে দাঁড়িয়েছেন। চারদিকে বানের পানি। পানিবন্দি মানুষ। ডুবে গেছে সব। বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি। গবাদি পশুগুলো ভেসে গেছে স্রোতে। আশ্রয়হীন সবাই। পেটে ক্ষুধার জ্বালা, নেই গলা ভিজানোর পানিও। এমন দুঃসময়ে চেয়ারম্যানের সহযোগিতা পেয়ে খুশি সবাই। স্কুল ঘরের দোতলাটায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। ছেড়ে দিয়েছেন নিজের কাছারি ঘরটাও। মানুষের মনে দাগ কাটে। যারা এতদিন ঘৃণায় তার দিকে তাকাত না, তাদেরও আজ শ্রদ্ধায় মাথা হেলে আসে। নিজ হাতে খাবার বিলি করেন চেয়ারম্যান। মুখে এক চিলতি হাসি। পরম আগ্রহে খোঁজ-খবর নেন। সমবেদনা জানান। আশ্বাস দেন, ‘আমি থাকতে অভুক্ত থাকবে না কেউ। বিনা চিকিৎসায় মরবে না। আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না হলে আমার ঘরটাও খুলে দেব। আমি থাকতে কেউ আশ্রয়হীন হবে না।’ মানুষ সেøাগান ধরে- মান্নান ভাই, মান্নান ভাই, তার তুলনা নাইরে নাই।
চেয়ারম্যানের মুখ উজ্জ্বল হয়। চোখ জ্বলজ্বল করে। চার দিকে জয়জয় রব। মানুষের মন থেকে এমন জয়জয়কার প্রথম শোনেন তিনি। প্রাণ শীতল হয়, চোখ বন্ধ হয়ে আসে। বন্যায় দিশাহারা মানুষকে আশ্রয় ও খাবার দিয়েছেন চেয়ারম্যান। দিয়েছেন সান্ত¡না আর সাহসও। কৃতজ্ঞতায় মানুষ লুটে পড়ে সালাম করে। প্রণাম করে ধূলি নেয় কেউ কেউ, মানুষ নয় দেবতা যেন। চেয়ারম্যান হাসেন, সেই হাসিতে মুখের বিনয়ের রেখা মোছে না।
চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন, ‘আগামী এক মাসও যদি বানের পানি না কমে এভাবেই আমি পাশে থাকব সবার, বাড়িঘর বেচে হলেও খাবার দিব তোমাদের।’ মনে মনে হিসাবটা আগেই কষেছেন চেয়ারম্যান। এলাকার মানুষের এক মাস ভরণপোষণ করলেও শতকরা এক শতাংশও খরচ হবে না। বন্যার সুযোগে এলাকায় লুটপাট করে যে পরিমাণ সম্পদ জমেছে তার গুদামে। তার থেকে যৎসামান্য তাদের জন্য খরচ করলে ক্ষতি কি! সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেন মান্নান। হে খোদা, এভাবেই বন্যা দিও প্রতি বছর। যেন ঘরছাড়া মানুষের ঘর লুট করা সহজ হয়। গর্দভ বাঙালিকে খুঁদ-জাউ খাইয়ে যেন শুনতে পারি, স্বীয় নামের জয়ধ্বনি।
:: ফেনী সদর, ফেনী

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়