কাশিয়ানীতে ‘শত্রæতার বিষে’ মরল মাছ

আগের সংবাদ

আইএমএফ থেকে ঋণ নেবে সরকার

পরের সংবাদ

বাংলাদেশের তেল গ্যাস বিদ্যুৎ : জ¦ালানি খাত নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক বই

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সবুজ ইউনুস একজন সাংবাদিক ও লেখক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকেই তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি খাত তথা তেল গ্যাস বিদ্যুৎ কয়লা নিয়ে প্রায় তিন দশক বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। দীর্ঘকাল তিনি তেল গ্যাস বিদ্যুৎ খাত নিয়ে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ফিচার ও শত শত বিশেষ ও সাধারণ রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নতি সাধনে তার এসব লেখা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। সরকার বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তাকে সেরা রিপোর্টার হিসেবে পুরস্কৃত করেন। সবুজ ইউনুস বর্তমানে সমকালের সহযোগী সম্পাদক ও অনলাইন ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখিও করছেন।
বাংলাদেশের তেল গ্যাস বিদ্যুৎ- সবুজ ইউনুসের একটি মৌলিক গ্রন্থ। বাংলাদেশের তেল গ্যাস বিদ্যুৎ খাত নিয়ে আগ্রহ আছে এমন পাঠকদের কৌতূহল মেটানোর জন্য মূলত সাংবাদিক সবুজ ইউনুস তার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে বইটি লিখেছেন। যেহেতু তিনি প্রায় ৩০ বছর বাংলাদেশের তেল গ্যাস বিদ্যুৎ নিয়ে সাংবাদিকতা করেছেন সেহেতু বলা যায় এই বিষয়গুলোতে তার স্বচ্ছ জ্ঞান রয়েছে।

আধুনিক জীবন তেল গ্যাস বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। এক কথায় জ্বালানি খাত ব্যতীত চলমান জীবনধারা অচল। গুরুত্বপূর্ণ এই খাত নিয়ে শিক্ষানবিশ সাংবাদিক, ছাত্র ও সাধারণ পাঠককে সংক্ষেপে ধারণা দেয়ার জন্য সবুজ ইউনুস তার নিজস্ব তাগিদবোধ থেকেই বইটি রচনা করেছেন। সন্দেহ নেই যে বইটি পাঠ করে সব শ্রেণির পাঠকই বাংলাদেশের জ্বালানি খাত অর্থাৎ তেল গ্যাস বিদ্যুৎ কয়লা নিয়ে সার্বিক একটি চিত্র জানতে পারবেন।
এই গ্রন্থটিতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অতীত ও বর্তমান পরিস্থিতি নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সবুজ ইউনুস জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য নিয়েছেন। সেগুলো যথাসম্ভব সাদামাটা ভাষায় এখানে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করা যায় পাঠকদের বুঝতে কোনো সমস্যা হবে না। বলা যেতে পারে তেল গ্যাস বিদ্যুৎ কয়লা খাত নিয়ে এটি একটি পরিচিতিমূলক বই। বইটি অধ্যয়ন করে পাঠক এক নজরে জানতে পারবেন বাংলাদেশের এ খাতগুলোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
নব্বই দশকে সারাদেশে অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকত না। উৎপাদনও হতো দুই-তিন হাজার মেগাওয়াট। লোডশেডিং চলত রাতদিন সমানে। এই খাত সম্পর্কে স্পষ্ট ও পুরোপুরি ধারণা না থাকার কারণে অনেকের পক্ষে নির্ভুল প্রতিবেদন লেখা কঠিন হতো। এক পর্যায়ে বিষয়টি উপলব্ধি করেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুরু হলো এই বিটের তরুণ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এরপর তারা এই খাত সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেন। পাঠকও এসব বিষয়ের বিভিন্ন পারিভাষিক শব্দের সঙ্গে পরিচিত হলেন। কালের পরিক্রমায় সাংবাদিকতার জনপ্রিয় একটি বিট এখন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। প্রতিদিনই কোনো না কোনো গণমাধ্যমে এ বিষয়ক প্রতিবেদন থাকেই। এরপর ক্রমেই জ্বালানি খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। আর কদর বাড়তে থাকে রিপোর্টারদের।
সবুজ ইউনুস বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ নিয়ে লেখা শুরু করেন ১৯৯৪ সালের দিকে। তখন এ বিষয়ে তেমন কোনো কার্যকর বইও ছিল না। সরকারি কর্মকর্তা, সভা সেমিনার ও কর্মশালা এগুলোর মাধ্যমেই তিনি এ খাত সম্পর্কে জানাশোনা শুরু করেন। পরে দেশে-বিদেশে এ বিষয়ে বেশ কয়েকটা প্রশিক্ষণ নেন। তখনই উপলব্ধি করেন যে এই খাত নিয়ে সাধারণ মহলে বোধগম্য হয় এরকম একটি বই খুবই প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়