গান আড্ডার ভিডিও চিত্রে ‘পঞ্চাশে আমরা’

আগের সংবাদ

আমদানির সুফল মেলেনি রাজস্বে : বছর শেষে শুল্কেও থাকবে ঘাটতি > মূল্যস্ফীতি বাড়লেও কমেছে ভ্যাট > নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ

পরের সংবাদ

শিক্ষামন্ত্রী : শেখ হাসিনা অবরুদ্ধ মানে গণতন্ত্রই অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা মানেই গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করার সমান বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আরো অনেকে।
ডা. দীপু মনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা প্রথম প্রতিশোধ নিয়েছিল ১৯৭৫ সালে। কিন্তু তাদের কাজ কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশের বাইরে থাকার কারণে। এরপর সেটি সম্পন্ন করার জন্য ওয়ান-ইলেভেন শুরু করে। সে দিন বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজেই বলেছিলেন ’৭৫-এর চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা অবরুদ্ধ মানে গণতন্ত্রই অবরুদ্ধ। তাকে গ্রেপ্তারের আগে যে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল তিনি সেখানে বলে দিয়েছিলেন যে আমি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। সেই সুবাদে তাকে খুব কাছ থেকে দেখা হয়েছে। আমি দেখেছি তার দৃঢ় মনোবল, দেখেছি তার প্রজ্ঞা, দেখেছি তার দূরদৃষ্টি।
মন্ত্রী আরো বলেন, তাকে যখন সাব-জেলে রাখা হলো, তখন একদিন দেখা করতে গেলে দেখি তিনি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে খাতা ভরে ফেলেছেন। জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তারা আমাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে এবং আমরা নির্বাচন করব। ক্ষমতায় গিয়ে কী কী কাজ করব সেগুলোর তালিকা করছি। এর আগে ঘরবন্দি অবস্থায়ও তিনি কোথায় রেললাইন করবেন, কোথায় সেতু করবেন সেই তালিকা করতেন। তিনি এসব পরিকল্পনা করতে পারেন, কারণ তিনি মানুষকে বুঝতে পারেন।
আলোচনা সভায় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিনসহ দেশি-বিদেশি অপশক্তি সে দিন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী অগণতান্ত্রিক শাসন, শোষণ-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিল করা। এর মূলে ছিল বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।
তারা আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছিল, কিন্তু তারা জানত না তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, গ্রেপ্তারের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় বলে গেছেন, কেউ যেন অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে। তিনি প্রয়োজনে দেশের জন্য নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত বলেও সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে গেছেন। তিনি কখনো অর্থ বা সম্পদকে মনে ধারণ করেননি। তার মতো কোনো নেতৃত্ব আমরা আর পাব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়