গান আড্ডার ভিডিও চিত্রে ‘পঞ্চাশে আমরা’

আগের সংবাদ

আমদানির সুফল মেলেনি রাজস্বে : বছর শেষে শুল্কেও থাকবে ঘাটতি > মূল্যস্ফীতি বাড়লেও কমেছে ভ্যাট > নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ

পরের সংবাদ

বুস্টার ডোজে আগ্রহ কম : লক্ষ্যপূরণ না হলে কার্যক্রম আরো কয়েকদিন চলবে

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কাজ শেষে বেলা একটায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ (৩য় ডোজ) নিতে গিয়েছিলেন সংবাদকর্মী শাহরিয়ার। কিন্তু গিয়ে দেখেন টিকাকেন্দ্র বন্ধ। দায়িত্বরত আনসার সদস্য জানায় টিকা প্রত্যাশী না থাকায় টিকাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। তাই গতকাল মঙ্গলবার টিকা না নিয়েই ফিরে গেছেন শাহরিয়ার।
রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সেখানে টিকা গ্রহীতাদের উপস্থিতি থাকলেও আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক কম। টিকাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের অতিরিক্ত ভিড় কিংবা চাপ সামলাতে হচ্ছে না। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কেন্দ্রেও দেখা গেছে একই চিত্র।
বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মীরা জানান, বুস্টার ডোজ ও ২য় ডোজের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে। সকাল থেকেই টিকা গ্রহীতারা আসছেন। তবে তা আগের ক্যাম্পেইনগুলোর মতো নয়। তাদের অতিরিক্ত চাপ যাচ্ছে না। অন্যসব দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২য় ডোজ গ্রহীতার চেয়ে বুস্টার ডোজের গ্রহীতা বেশি।
এদিকে দেশে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং বুস্টার ডোজ গ্রহীতার হার তুলনামূলক কম এ বিষয়টি বিবেচনা করে ১৯ জুলাই দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ দিন ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। অধিকাংশ টিকা কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতার উপস্থিতি দেখে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে এই কার্যক্রম আরো কয়েক দিন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহম্মদ খুরশীদ আলম। গতকাল মঙ্গলবার ঢামেক টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি একথা জানান।
এসময় মহাপরিচালক বলেন, করোনা এখন মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাচ্ছে না। তাই বুস্টার ডোজ নিতে মানুষের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। আমরা মঙ্গলবার টিকার ৭৫ লাখ বুস্টার ও ২য় ডোজ দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এছাড়া চলতি জুলাইয়ের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনা হবে।
গত সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও এই টিকা দেয়া হবে। দেশজুড়ে প্রায় ৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদানকর্মী এবং ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। দেশের ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকার ১ম, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ ২য় এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ ৩য় ডোজ টিকা নিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়