শিনজো আবের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

ভোট ঘিরে তৎপর কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

বুকের ভেতর ঝিঁঝি ডাকে

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাফপ্যান্টের চেনের সাথে ফাহিমের ওই জিনিসটা আটকে যাওয়ার পর সে আকাশের দিকে তাকিয়ে ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছিল। চোখ তার আকাশের দিকে, আর হাত দুটো প্যান্টের চেনের হুকে। তার তখন কুল রাখি না শ্যাম রাখি অবস্থা। সে আকাশে ভেসে চলা ঘুড়ির পেছনে ছুটবে, নাকি চেনের গিট্টু থেকে ওই জিনিসটাকে ছাড়াবে? হাবলুর হাতে ঘুড়ির নাটাই ধরিয়ে সে একটু দূরে দাঁড়িয়ে হিসু করতে দাঁড়ানোর পরই না অঘটনটা ঘটল। হাফপ্যান্টের চেন খুলে সে আকাশের দিকে তাকিয়েই কাজ সারছিল। যেই না সে চেনের হুক ধরে টান দিতে যাচ্ছিল তখনই তার সাধের ঘুড়িটা নাটাইয়ের সাথে বন্ধন ছিন্ন করে আকাশে ছিটকে পড়ল। চোখের সামনে এমন ঘটনার আকস্মিকতায় নিয়ন্ত্রণহীন হাতের টানে চেনের ভাঁজে আটকে গেল ফাহিমের ওই জিনিসের চামড়ার একটু অংশ। হাবলু ঘুড়ির নাটাই ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়ায় ঘুড়ির সুতা কেটে গেল। বন্ধনমুক্ত ঘুড়ি বাতাসে ভেসে চলল। কিন্তু বেটা হাবলুর তাতে কোনো ভাবান্তর নেই।
‘ওই বেটা, করলিটা কী? এখন দৌড়াস না ক্যান?’ ফাহিম দাঁত খিঁচিয়ে হাবলুকে বলল।
কিন্তু হাবলু ঘুড়ির পেছনে দৌড়াবে না। তার কী দরকার! ঘুড়ি তো তার নয়। চেনের হুকে হাত রেখে ফাহিম জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যথায় মোচড়াচ্ছে। ততক্ষণে আকাশে ভেসে চলা ঘুড়ির পেছনে দৌড় শুরু করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের নয়ন। আকাশে বেহাত ঘুড়ি যার হস্তগত হয় সেই তার মালিক হয়ে যায়। তাই ঘুড়িটা নয়নের হস্তগত হলে সেটা ফাহিম আর ফেরত পাবে না। তার ঘুড়িটা নয়ন নিয়ে নেবে! হতেই পারে না। ফাহিমের হাত হাফপ্যান্টের চেনের হুক থেকে সরে গেল। শরীরের সমস্ত শক্তি হাতের মুঠোয় নিয়ে সে দৌড় দিল। আর তাতেই চেনের হুক থেকে তার ওই জিনিসটা আলাদা হয়ে গেল। ব্যথাটা তার মগজ টের পেলেও সে প্রাণপণে ঘুড়ির পেছনে ছুটতে থাকল। কয়েকটা ন্যাড়া ধান ক্ষেত আর দুটো বাড়ির পরেই সে নয়নকে পেছন ফেলে গেল। দৌড়ে পেছনে পড়ে নয়নও ঘুড়ির লোভ সংবরণ করে থেমে গেল। ফাহিমের সাধের ঘুড়িটা তখন ভূতলের কাছাকাছি নেমে এসেছে। বাতাসও পড়ে গিয়েছে। ঘুড়িটা হোঁচট খেয়ে পড়ল রহিম শেখের পাটক্ষেতে। তখন সে দুশ্চিন্তামুক্ত। পাটের চারা বাঁচিয়ে পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে ঘুড়িটা হাতে নিয়ে ফাহিম দিগ্বিজয়ীর হাসি হাসল। নিচে তাকিয়ে দেখে তার হাফপ্যান্টের চেনের পাশে একটু তাজা রক্তের ছাপ। তবুও তার ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডলজুড়ে অসাধ্য সাধনের আনন্দ। ঘুড়ি নিয়ে ফেরার পথে সে একটা ঝোপের আড়ালে গিয়ে কয়েকটা দূর্বাঘাস চিবিয়ে সেটার রস তার ওই জিনিসটার কাটা অংশের ওপর লাগিয়ে দিল। ক্ষতস্থানে রসের কামড় সে টের পেল। সে নিশ্চিত ছিল যে, এ উদ্ভিজ্জ রসেই তার ওই জিনিসের জখম সেরে যাবে। ফলত তাই হয়েছিল। সাধের ঘুড়ির জন্য শৈশবে তার সেই রক্ষক্ষরণের ঘটনা কেউ জানতে পারেনি।
এফডিসি পেরিয়ে রেলক্রসিংয়ের সিগন্যালে রিকশায় বসে ফাহিম হাতিরঝিলের পাশে দুটো ছেলের উড়ানো ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে হাসছিল। রিকশায় পাশে বসা অবন্তী তার হাসির কারণ বুঝতে পারল না। ফাহিম ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি হেসেই যাচ্ছে। তার মানসপটে ভেসে উঠল শৈশবে হাবলুর হাতে ঘুড়ির নাটাই দেয়ার পর ঘটনার আদ্যোপান্ত।
‘হাসছ যে?’ অবন্তী জিজ্ঞেস করল।
‘এমনিতেই। অনেক পর দিন ঘুড়ি উড়ানো দেখছি তো। তাই হাসি পাচ্ছে।’ ফাহিম বলল।
‘তোমার এই হাসিরও শানে নুযুলটা আমি জানি।’ অবন্তী নিচের দিকে তাকিয়ে বলল। কপালের সামনের চুলে ঢেকে আছে তার চোখ দুটো। হাসিতে তার মাথা দুলছে।
‘আমরা শৈশবে সামান্য একটা কাগজের ঘুড়ির জন্যও জীবন দিতে পারতাম। এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছুর জন্য সেটা করার সাহস পাই না।’ ফাহিম বলল। একটা দীর্ঘশ্বাসও বেরিয়ে আসল। অবন্তী কপালের চুল সরিয়ে তার দিকে তাকাল।
‘থাক, আর জীবন দিতে হবে না।’ অবন্তী ফাহিমের হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলল।
সিগন্যালবার ওঠার পর তাদের রিকশা চলতে শুরু করে। অবন্তীর অফিস কারওয়ানবাজারে। আর ফাহিমের অফিস ধানমন্ডিতে। নিজের অফিসে যাবার পথে সে অবন্তীকে নামিয়ে দিয়ে যায়। সোনারগাঁও হোটেলের সামনে অবন্তী রিকশা থেকে নেমে গেল। ফাহিমের রিকশা সার্ক ফোয়ারা পার হয়ে পান্থপথের চৌরাস্তায় আবার জ্যামে পড়ে। রিকশা ঘেঁষে দাঁড়ানো একটা ভ্যান গাড়িতে পাঁচ মিশালি গুঁড়া মাছ। লোকটা কারওয়ানবাজারের আড়ত থেকে মাছ কিনে এনেছে। মাছের এক পাশে একটা মরা জোঁক। গুটিয়ে থাকা প্রাণীটার দেহের স্থিতিশীলতা আর জায়গামতো কামড় দেয়ার সক্ষমতা অনেক শহুরে লোকজন জানে না। সেটা জানে গ্রামে বসবাসরত তার বাল্যবন্ধু হাবলু। জোঁকটা দেখে আবার ছোটবেলার বন্ধু হাবলুর কথা মনে পড়ল। আবার তার হাসি পেল।
সে একবার হাবলুর সাথে মাছ ধরতে পাটক্ষেতের ওল ডুবুডুবু পানিতে চুঙ্গিয়া বড়শি ফেলার পর হাবলুর ভেতরে জোঁক ঢুকেছিল। হাবলুকে তামাকের হুকোর পানি খাওয়ানোর পর মৃতাবস্থায় জোঁকটা বেরিয়ে এসেছিল। তারপর হাবলু বাড়ি থেকে বের হলেই অনেকেই জিজ্ঞেস করত, তোর ওই দিক দিয়া নাকি ঢুকছিল? বেচারা হাবলু লজ্জায় লাল হয়ে যেত।
ফাহিম দাদা-নানার বয়সি না হলেও তার শৈশবে দেখা খাল-বিল আর ডোবায় সহজলভ্য মাছ ধরার গল্প বললে শহুরে অবন্তীর কানে তা রূপকথার মতো শোনায়। একবার তাদের গ্রামের খালে লোকজন পলো দিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিল। পানির নিচে একজনের পলো চাপ দিয়ে ধরে রেখেছিল আরো দুজন। লোকটা ডুব দিয়ে পলোর ভেতরের মাছের আকার অনুমান করে মাথা জাগিয়ে পানি চাপড়ে বলেছিল, ‘আমার আর লাগত না।’ তারপর তিনজন মাছটা শূন্যে তোলার পর দেখা গেল বিশাল সাইজের এক বোয়াল প্যাঁচিয়ে পুরো পলোটাই যেন দখল করে আছে। লোকটা সত্যি সত্যি আর কোনো মাছ না ধরে পলোসুদ্ধ মাছটা মাথায় নিয়ে হাঁটা দিয়েছিল। পান্থপথের সিগন্যাল পার হতে হতে শৈশবে এলাকার খাল-বিলে কত রঙের মাছ ধরার কত রকম আয়োজনের কথাই না তার মনে পড়ল। সেই সময়ে বাড়ির সবচেয়ে উঁচু গাছের মগডালের বাসিন্দা ঈগল পাখিটাও ছিল এক প্রকার ছোটখাটো মাছের আড়তদার। শিকারি পাখিটি বিল থেকে বড় বড় মাছ ধরে মাথার ওপর দিয়ে উড়ে আসত। তার বাসায় জমানো মাছ কখনো টুপটুপ করে নিচে পড়ত।
ফাহিমের বউ অবন্তীর বাবার বাড়ি মগবাজারে। তিন বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে অবন্তী সবার ছোট। নির্লোভ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জামাইদের মধ্যে ফাহিম অবন্তীর বাবার কাছে বেশি প্রিয়। শ্বশুরের ইচ্ছায় সে অবন্তীকে নিয়ে পাশের বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে। একদিন অবন্তীর মেজো ভগ্নিপতি ব্যাগভর্তি বাজার ও একটা বড় রুই মাছ নিয়ে শ্বশুরের বাসায় ড্রয়িংরুমে হাজির হন। সবজির ব্যাগের মুখে ঝুলে থাকা বরবটি দেখে ফাহিম হেসে দিল।
‘কী মিয়া, হাসলা ক্যান?’ অবন্তীর মেজো ভগ্নিপতি জিজ্ঞেস করলেন।
‘দুলাভাই, ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে আমি একটা ছাগল পোষতাম।’ হাফিম বলল।
‘তুমি যে ছাগল পোষতা সেইটা তো তোমার চেহারা দেখেই বুঝা যায়।’ মেজো ভগ্নিপতি বললেন।
ফাহিমকে এমন অপমানজনক কথা বলায় ড্রয়িংরুমে বসা অবন্তীর পাশাপাশি তার বাবাও খুব মনোক্ষুণ্ন হলেন। কিন্তু ফাহিমকে খুব স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল।
‘দুলাভাই, আমাদের গ্রামের বাড়িতে যেসব শাকসবজি ফলত তার মধ্যে একমাত্র বরবটিই আমরা খেতাম না। আমার সেই পোষা ছাগলটাই সেই বরবটি খেত।’ ফাহিম বলল।
তার কথায় অবন্তী হাসলেও শ্বশুর মশাই হাসি দমন করলেন।
‘তুমি তো জমিদারের পুত। তাই তোমাগর বাড়ির ছাগল বরবটিসহ কত কিছু খাইত! আর তোমরা বাতাস খাইতা।’ এ কথা বলে অবন্তীর মেজো ভগ্নিপতি বাজার ব্যাগ আর মাছ নিয়ে গজরাতে গজরাতে শাশুড়ির রান্নাঘরের দিকে হাঁটা দিলেন।
‘বাবাজি, আসলেই কি তোমাদের বাড়ির বরবটি ছাগলে খেত?’ ফাহিমের শ্বশুর জিজ্ঞেস করলেন।
‘বাবা, দুলাভাই প্রায়ই আমাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন। আজ আমিও একটু করলাম আর কি।’ হাফিমের এমন কথায় শ্বশুর হাসলেন।
‘চাহিদা আর পুষ্টিমান জানার পর এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারে থানকুনি ও ভতুয়া শাকের পাশপাশি আরো কিছু শাকসবজি দেখা যায় যেগুলো এক সময় গ্রামের গরু-ছাগলও খেত না। মূল কারণটা ছিল অজ্ঞতা।’ ফাহিম বলল।
ফাহিমের শ্বশুরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। তিনি মনোযোগ সহকারে ফাহিমের কথা শুনছিলেন।
‘পরিকল্পনামন্ত্রীর কথা শোনেননি যে, গোখাদ্য কচুরিপানার পুষ্টিমান নিয়ে গবেষণা হচ্ছে? হতেই পারে। পুষ্টিমান আর প্রয়োজনের বিবেচনায় সামনে আরো অনেক কিছুই সর্বভুক প্রাণী মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ হবে।’ ফাহিম বলল।
তার কথায় শ্বশুর মাথা নেড়ে সহমত পোষণ করেন। অবন্তী ও তার বাবা অনুভব করেন যে, ফাহিমের মাঝে তার শৈশব, গ্রামের মানুষ ও পরিবেশের এক প্রগাঢ় প্রভাব রয়ে গেছে।
ফাহিমের রিকশা তখনো অফিসের কাছে পৌঁছায়নি। তার মানটপটে কত কিছু যে ভেসে ওঠে। তার গ্রামের স্মৃতিগুলো এখনো স্নিগ্ধতা, সজীবতা আর কমনীয়তায় ভরপুর। তার মানসপটে ভেসে ওঠে নদী ও পুকুরঘাটে আসা ঘর-গেরস্থালির নুনাজলে জবজবে গৃহবধূর মুখ, মাঠের শেষে শিল্পীর তুলিতে আঁকা দূরের গ্রাম, দিগন্তে হেলান দেয়া নীলাকাশ, ঘাসের সবুজ গালিচার ওপর রাখাল আর গরু-ছাগলের বিচরণ, নদীর বুকে জলজ রঙিন প্রজাপতির ন্যায় ভাসমান পালতোলা নৌকা, বৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে গিয়ে নিজের ভাগে কম পাওয়ায় পাংশু মুখ, কিশোর-কিশোরীর তুলতুলে পায়ের থমথমে আওয়াজ ও কোমরের ঘুঙুরের শব্দে কান পেতে থাকা কোনো সন্তানহারা জননীর মুখ। ভর দুপুরে পুকুর কিংবা নদীর জলে অফুরান প্রাণের ঝাঁপাঝাঁপিতে শামুক বা ধারালো কিছুতে পা কেটে বয়ে যাওয়া রক্তের ধারার কথা এ জীবনে ভুলবার নয়।
স্মৃতিরা আজ বিরামহীনভাবে ফাহিমের মানসপটে ভেসেই যাচ্ছে। তার মনে পড়ে যে সকালে কোঁচরভর্তি মুড়ি আর খেজুর গুড় নিয়ে খড়ের আগুন ঘিরে মুখরোচক গল্পের আসর ছাড়া শীতের সকাল অসম্পূর্ণই থেকে যেত। শিশিরভেজা নয়নাভিরাম সরষে ক্ষেতের কাছে এখনো ফাহিমের দৃষ্টি বন্ধক হয়ে আছে। গাঁয়ের কোনো কোনো মাঠ দেখতে ছিল বনফুলের মখমল শোভিত ধরিত্রীর বিস্মৃত শ্যামল শাড়ির মতো। মেঘহীন চৈত্রের সন্ধ্যায় ব্যাঙ আর ব্যাঙির বিয়ের আসরে গান আর বাতাসার স্বাদ ছিল অপূর্ব। জোছনাপ্লাবিত চাঁদনী রাতে দাওয়ায় বসে মায়ের কোলে মাথা রেখে চরকাবুড়ির গল্প শোনার সময় সেই বুড়ি কত রকম চেহারা নিয়ে যে কল্পনায় ধরা দিত। গোধূলিলগ্নে নীড়ে ফেরা পাখিদের কূজন আর গবাদি পশুদের ধূলি উড়িয়ে গোহালে ফেরার সময় ফাহিম পশ্চিমাকাশে যে রক্তিমোজ্জ্বল ক্যানভাস দেখেছিল তা এ শহুরে জীবনে যে একবারও দেখেনি। নকশিকাঁথার ওপর মা-খালা আর বোন-ভাবিদের ভাববিমুগ্ধ মুখ এখনো তার স্মৃতিতে অমলিন। রাতের আঁধারে জেলে নৌকার হেজাক বাতির তীব্র আলোর বিচ্ছুরণে জেগে ওঠা বিল আর ঝোপের মাঝে দেখা অসংখ্য জোনাকির বিন্দু বিন্দু আলো এখনো তার ভেতর মিটিমিটি জ্বলে। বাতি নেভানো ঘরে রুমালে আটকানো সেসব ঝিঁঝি পোকার আলোয় তার ভেতরটা যতটা আলোকিত হতো তা এই নগরীর কোনো আলোকসজ্জাতেই সম্ভব হয়নি। ভর দুপুরে ঝিঁঝি পোকার ডাক শোনার স্মৃতিতে এখনো বুকের ভেতরটা অনুরণিত হয়। ফাহিমের মনে হয়, এসব অস্বীকার করলে নিজের শেকড়কেই অস্বীকার করা হবে। শেকড় ছাড়া অস্তিত্ব যেমন নড়বড়ে, তেমনি সুখের অনুভূতিও বড্ড মেকি।
অফিসের সামনে রিকশা থেকে নামার সময় শেকড়ের কাছে একটা দায়বদ্ধতা ফাহিমের ভেতর মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। সে একদিন শেকড়ের কাছে ফিরবে। তার বিশ্বাস, অবন্তী তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়