কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ কোটি টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভয়াবহ এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি), স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি এবং বিএম কনটেইনার বিডি লিমিটেডের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার জনস্বার্থে ল’ এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ (সিসিবি) ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির পল্লব এ রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে পল্লবের সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট ইশরাত হাসান ও এডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল।
জামিউল হক জানান, রিটে প্রত্যেক নিহতের জন্য ২ কোটি ও আহতদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে গত ৮ জুন নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়। আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও দমকল বাহিনীকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও উল্লেখ করা হয় নোটিসে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব এ নোটিস পাঠান। স্বরাষ্ট্র সচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিস পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে গত ৪ জুন রাতে আগুন লাগে। এরপর দফায় দফায় বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৪৪ জন মারা যান। আহত হন দুই শতাধিক। প্রায় ৬১ ঘণ্টা পর ওই ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।