মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

দাম বাড়লেই সরকারের সমালোচনা করা যাবে না

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আমদানিনির্ভর বাজারে অনেক কিছু বিবেচনা করেই পণ্যের দাম নির্ধারণ হয়। অনেক সময় পণ্য আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যায়। তখন চাইলেও হুট করে কমানো যায় না। এ জন্য দাম বাড়লেই অনেকে অনেক কথা বলেন, সরকারের সমালোচনা করেন। দাম বাড়লেই কিন্তু সরকারের সমালোচনা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
গতকাল বুধবার কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভার্চুয়াল জেলা, উপজেলা প্রতিনিধি সম্মেলন- ২০২২ ও ক্যাবের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘ভোক্তাকণ্ঠ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জেলা ও উপজেলা কমিটির সদস্যরা সাংগঠনিক ও ক্যাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা, ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ¦ালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম, ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান, ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। পরে তপন কান্তি ঘোষ প্রধান অতিথির দায়িত্ব পালন করেন। বাণিজ্য সচিব বলেন, ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ একটি ব্যাপক ধারণা। এটির আইন আছে, অধিদপ্তর আছে। তারা নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ করছে। একটা ঘটনা ঘটে গেলে তা ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু ভোক্তা অধিকার হচ্ছে এমন, যেসব বিষয় আমাদের ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়ে সেগুলোর দিকে নজর রাখা। এ জন্য আমাদের আরো ব্যাপক কাজ করতে হবে। যদি আমাদের ব্যবসায়ীরা ভেজাল না দেন, মূল্য সঠিক রাখেন। তাহলে তো এসব অধিদপ্তরকে কাজ করতে হয় না।
ক্যাবের কার্যক্রমকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ক্যাবের আন্দোলনের ফসল হিসেবে ২০০৯ সালে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। যে কারণে ক্যাব ও ভোক্তা অধিদপ্তর যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। কারণ ক্যাব ও ভোক্তা অধিদপ্তর মিলে যখন একসঙ্গে কাজ করতে পারবে তখনই ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অনেক মিডিয়াই প্রশ্ন করে- আপনারা কী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন? হ্যাঁ, আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি। সেই ক্ষেত্রে ক্যাবের সভাপতি (সাবেক বাণিজ্য সচিব) গোলাম রহমান স্যারসহ ক্যাবের সদস্যদের সহযোগিতা পাচ্ছি। সারাদেশ থেকে আমাদের যেভাবে (ক্যাব) হাইলাইটস করা হচ্ছে তাতে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভোক্তাদের আসল অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়