বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

পরিবেশবিদদের অভিমত : বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রান্তিক ও দূরবর্তী এলাকার মানুষের পরিচ্ছন্নতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের পরিচ্ছন্ন বাজেট অপ্রতুল। প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) পরিচ্ছন্ন খাতের বরাদ্দ বাড়লেও তা সার্বিক এডিপি বৃদ্ধির তুলনায় কম বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ স্যানিটেশন, পরিবেশ ও সক্ষমতা তৈরির বিষয়ে বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা অপ্রতুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পরিবেশবিদরা। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো ধীরগতিতে বাস্তবায়িত হবে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ফানসা-বিডি, এফএসএন নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিসটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন এন্ড ওয়াটার ফর অল এন্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম, ইউনিসেফ ও ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
ওয়াশ খাতে অপ্রতুল বাজেটের বিষয়ে বক্তারা বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। হাওর এবং পার্বত্য এলাকায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে, তবে চর এবং উপকূলীয় এলাকায় বাড়েনি। এই ধারাটি উপকূলীয় অঞ্চল ও চরে বসবাসকারী মানুষের জন্যও অব্যাহত রাখা উচিত। যাতে করে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মনোযোগী হওয়া এবং গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ওয়াশ খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন। ওয়াটার এইডের সহযোগিতায় পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সামগ্রিক এডিপি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর তুলনায় ওয়াশ এডিপি বরাদ্দ ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের এডিপি বাজেটে মোট ওয়াশ বাজেট হলো এডিপি বরাদ্দের ২৪৬০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন টাকার মধ্যে মাত্র ১১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকা।
বক্তারা আরো বলেন, বাজেটে চর ও উপকূলীয় এলাকার বাজেট বরাদ্দ পর্যাপ্ত ছিল না। ইতোমধ্যে শহরাঞ্চলের মধ্যে বাজেট বরাদ্দের বৈষম্য এখনো বিরাজমান রয়েছে। ওয়াশ এডিপিতে স্থানিক বৈষম্য দূরীকরণ করার জন্য তারা সুপারিশ করেন। এফএসএম খাতের বরাদ্দ হ্রাসের বিষয়টি দেশজুড়ে স্যানিটেশন কাভারেজ বৃদ্ধির বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত করবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বক্তব্য রাখেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের মনিরুল আলম, ফানসা বিডির যোসেফ হালদার, এফ এসএমের প্রতিনিধি আলাউদ্দিন, এমএসএমের প্ল্যাটফর্মের অলক মজুমদার, এসডব্লিউর প্রতিনিধি জুবায়ের হাসান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়