বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

একনেক বৈঠক : মসলার উৎপাদন বাড়ানোসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রান্না মজাদার ও সুস্বাদু করার প্রধান অনুষঙ্গ মসলা। তবে চাহিদার সিংহভাগ মসলাই আমদানিনির্ভর। তাই এবার মসলার উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার। এ জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে দেশের ১১০টি উপজেলা ও ২৫টি হর্টিকালচার সেন্টার। গুরুত্ব পাবে ২৩ ধরনের মসলার ৪৮টি জাত। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পসহ মোট ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল আলমসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির কাজ আগামী মাসেই শুরু হবে। ২০২৭ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা বলে জানান তিনি। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, দেশে প্রায় ৫০ ধরনের মসলার চাহিদা থাকলেও, চাষ হয় ৭ ধরনের। ফলে বাকি পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বিশ্ববাজারে দর বাড়লে বিপাকে পড়েন গ্রাহকরা। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, ধনিয়া, মরিচ, গোলমরিচ, দারুচিনি, জিরার মতো মসলা দেশেই আবাদ সম্ভব। এর সুবাদে মিটবে ভোক্তার চাহিদার পুরোটাই। সভায় অনুমোদন পায় যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি স¤প্রসারণ প্রকল্প। এছাড়া কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ (আর-৭৪৫) আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮১তম কিমি-এ রেলবাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্প। চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের পিরোজপুর অংশের জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কার, অপ্রশস্ত বেইলি সেতুর স্থলে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ (১.৬০ কিমি থেকে ৩২.০০ কিমি পর্যন্ত) সড়ক প্রশস্তকরণ, জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ (১ম সংশোধিত), বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত) কাজের অনুমোদন দেয়া হয়। ঢাকা সেনানিবাসে এমইএস (মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস)-এর ভৌত অবকাঠামো সুবিধা সম্প্রসারণ, কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পও অনুমোদন পায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়