কাগজ প্রতিবেদক : বন্যা কবলিত এলাকাগুলোকে ‘দুর্গত অঞ্চল’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে ‘বিলম্ব ছাড়া’ এই অঞ্চলগুলোর জনগণের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ দাবি জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের বরাত দিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত। ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়ঙ্কর বন্যায় সব কিছু হারিয়ে মানুষ এখন সর্বস্বান্ত। ত্রাণের জন্য পুরো বন্যাদুর্গত এলাকা হাহাকার করছে। সেখানে হাওর ও নদীগুলোয় যে বাঁধ এবং সেতু দেয়া হয়েছে, তা অপরিকল্পিত। এত দুর্নীতি হয়েছে, সব বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। নতুন করে যেসব রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোও ভেঙে যাচ্ছে। সরকারের চরম ব্যর্থতা, লুটপাট, উদাসীনতা, অদূরদর্শিতা আর খামখেয়ালিপনার কারণে দেশের বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। এ সময় তিনি সরকারকে অবিলম্বে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোয় গিয়ে দুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করার এবং বন্যা যেন না হয়, সেই ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা উড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যাকবলিত কোটি পানিবন্দি মানুষ সাহায্যের জন্য তাকিয়ে আছে। সেখানে সরকারি বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিলেটে ২০০ টন চাল, নগদ ৩০ লাখ টাকা, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ লাখ মানুষ। বরাদ্দ ৬০ লাখ টাকার কথা বলা হলেও মূলত ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার মানে জনপ্রতি দেড় টাকা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে অস্থায়ী ৫০০ টয়লেট স্থাপন করতে যে খরচ হবে, তার দশ ভাগের এক ভাগও বরাদ্দ পাননি বন্যার্তরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।