ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে ন্যাটো, পুড়ছে ইউক্রেন!

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমের দেশগুলোর পাঠানো অস্ত্র আর যা-ই হোক রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ থামাতে পারবে না। বরং যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে তারা। আর সেই আঁচে পুড়ছে ইউক্রেন। এমনই মন্তব্য করল মস্কো। তাদের দাবি, ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের উদ্দেশে ইউক্রেনের বার্তা, তারা ফের সেভেরোডনেৎস্ক শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা, অন্তত ২০ শতাংশ জমি রুশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। খবর আনন্দবাজার।
ডনবাস অঞ্চলে এখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেভেরোডনেৎস্কের। মারিয়ুপোলের মতো এটিও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। রাশিয়ার থেকে এটিকে বাঁচাতে প্রাণপণে লড়ছে ইউক্রেন এবং একই রণকৌশলে মারিয়ুপোলের মতো এটিকেও গুঁড়িয়ে, মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে রুশ বাহিনী।
দীর্ঘদিন ধরেই এই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে মস্কো। একটু একটু করে তারা গিলে ফেলছিল শহরটাকে। স¤প্রতি লুহানস্কের গভর্নর সেরি হাইডাই জানান, শহরের ৭০ শতাংশ রাশিয়ার হাতে চলে গিয়েছে। কিন্তু গতকাল রবিবার তিনি জানান, প্রায় ২০ শতাংশ জমি রুশ দখলদারদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা। হাইডাই বলেন, আমাদের হাতে যতক্ষণ পশ্চিমের পাঠানো দূরপাল্লার যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে, ততক্ষণ আমরা ওদের এগোতে দেব না। আমার বিশ্বাস, যা অস্ত্র রয়েছে, ওরা এক সময় পালাতে বাধ্য হবে।
পূর্ব ডনবাসের অন্যত্রও আকাশপথে রুশ হামলা বাড়ছে। একের পর এক সেতু উড়িয়ে দিচ্ছে তারা। কৃষ্ণসাগরে গতকাল ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি পণ্যবাহী বিমান গুলি করে নামায় রাশিয়া। ডনেৎস্কে একটি গির্জায় গোলা বর্ষণ করে মস্কোর বাহিনী। কাঠের তৈরি ওই গির্জায় দ্রত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেনের অর্থোডক্স গির্জা কর্তৃপক্ষ জানান, ধর্মস্থানের মূল গম্বুজটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এক ইউক্রেনীয় সেনা কর্মকর্তা ফেসবুকে আগুনের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেন, আরো একটি জঘন্য অপরাধ। ওদের কাছে পবিত্র বলেও কিছু নেই। কয়েকশ বছরে পুরনো ওই গির্জাটি গত শতকে কমিউনিস্ট-শাসনামলে বন্ধ পড়ে ছিল। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত পতনের পরে এটি ফের খুলে দেয়া হয়। তবে এ দিনের ঘটনাটিতেও যথারীতি কিয়েভের কাঁধেই দায় চাপিয়েছে রাশিয়া।
যুদ্ধের ‘শিকার হচ্ছে ক্ষুধার্ত আফ্রিকাবাসী’: আফ্রিকার দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের নিরীহ শিকারে পরিণত হচ্ছে আর এই দুর্ভোগ লাঘব করতে রাশিয়ার সহায়তা করা উচিত, প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তাকে এমনটি বলেছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান ম্যাকি সাল। কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী রুশ পর্যটন নগরী সোচিতে গত শুক্রবার এ দুনেতার মধ্যে বৈঠক হয় বলে জানায় বিবিসি। বৈঠকের পর আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান জানান, পুতিন খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সহজ করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। সাধারণত আফ্রিকার চাহিদার ৪০ শতাংশেরও বেশি গমের জোগান দেয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। মিলিতভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ গম সরবরাহ করে। রাশিয়া প্রধান সার রপ্তানিকারী একটি দেশ এবং ইউক্রেন ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেলের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারী দেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়