ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

ডিপো তৈরি করতে গিয়ে পানির সব উৎস ধ্বংসের অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো তৈরি করতে গিয়ে সেখানকার পানির সব উৎস ধ্বংস করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় যে জলাশয় ছিল তা ডিপো কর্তৃপক্ষ ভরাট করে ফেলেছেন। তাই শনিবার রাতে ও রবিবার সারাদিন আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়তে হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের গাড়িতে যে পানি এনেছিলেন তা অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা স্থানীয়ভাবে পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন। তাছাড়া জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের কন্টেইনার ডিপো পরিচালনা করায় তাতে স্থানীয় জনসাধারণও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
শনিবার রাতে আগুন লাগার পর কন্টেইনার ইয়ার্ডে থাকা রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের কারণে বিকট ও ভয়াবহ শব্দে আশপাশের প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার বসতবাড়ি কেঁপে ওঠে। অনেক ঘরবাড়ির জানালা দরজা ভেঙে পড়ে।
এ অবস্থার মধ্যে জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কন্টেইনার ডিপো সরানোরও দাবি উঠেছে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিপোর মালিকপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার গাফিলতি তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) সরানোর দাবি জানানো হয়েছে। রবিবার সকালে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যায় সিপিবি টিম। চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম চৌধুরী ও সহসাধারণ সম্পাদক জামাল মেম্বার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং মানবিক সহায়তায় অংশ নেন সিপিবি নেতারা।
এ সময় জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সহসাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। পরে সিপিবি নেতারা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জনবসতিপূর্ণ একটি এলাকার মধ্যে একেবারে লোকালয় ঘেঁষে একটি কন্টেইনার ডিপো গড়ে তোলা হয়েছে। ডিপো তৈরি করতে গিয়ে তারা পানির সব উৎস ধ্বংস করেছে। এর ফলে আগুন নেভাতে পানি পায়নি ফায়ার সার্ভিস। উপরন্তু কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে, নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় না রেখে দাহ্য রাসায়নিক বোঝাই কন্টেইনার ডিপোতে রাখা হয়েছে। আগুন লাগার পর থেকে মালিকপক্ষ লাপাত্তা হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেনি। এর ফলে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। সিপিবি নেতারা বলেন, আমরা মালিকপক্ষের গাফিলতির তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিএম ডিপোসহ সব কন্টেইনার ডিপো সরানো, সাধারণ পণ্য ও রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের কন্টেইনার আলাদা ডিপোতে রাখার ব্যবস্থা করার দাবি জানান সিপিবি নেতারা। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ ২৫ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়