কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী : সহনীয় পর্যায়ে রেখেই বিদ্যুতের দাম বাড়বে

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আপাতত কেনা সম্ভব হচ্ছে না। রাশিয়ার ক্রুড অয়েলের ঘনত্ব বেশি ও ভারি হওয়ায় দেশে পরিশোধন করা সম্ভব নয়। সহনীয় পর্যায়ে রেখেই বিদ্যুতের দাম বাড়বে। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আগামীতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) ও পিডিবির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে নির্বাহী পরিচালক রিশান নসরুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং পিডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু রাশিয়ার ক্রুড অয়েল আমাদের ক্রুডের সঙ্গে ম্যাচ করে না। আমরা অ্যারাবিয়ার মারমার ব্যবহার করি- যা অনেকটা হালকা। আমাদের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে লাইট ক্রুড অয়েল বা হালকা অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করা হয়। কিন্তু রাশিয়া যে ক্রুড অয়েল রপ্তানি করতে চাইছে তার ঘনত্ব বেশি ও ভারি। এই তেল দেশে পরিশোধন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া আমাদের তেলের কোনো সংকট নেই। কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থাকায় এখন অন্য দেশের মতো তেল মজুতের চিন্তা করছি না।
বিদ্যুৎ ও জ¦ালানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না বলে আমি আশ্বস্ত করতে পারি। সবার জন্য সহনীয় পর্যায়ে রেখেই বিদ্যুতের দাম বাড়বে। দাম যেন সবার সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে বিষয়ে চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বলেছেন, চিন্তা-ভাবনা করে দাম নির্ধারণ করবেন। তবে এই মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সময় আসেনি। ১৩ বছর আগে যে দামে বিদ্যুৎ পাওয়া যেত এখন সেই একই দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ীসহ সবাইকে চিন্তা করতে হবে যে তারা বিদ্যুৎ পাচ্ছে কিনা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাচ্ছে কিনা। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আগামীতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ। সাশ্রয়ী মূল্য আর কম দাম এক জিনিস নয়। ঢাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হলে সব লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে নিতে হবে। বিদ্যুৎ প্লান্টের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ থাকতে হবে। এ জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। এটা অল্প সময়ে সম্ভব নয়। আগামীতে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। ২০২৪ সালের দিকে রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যু পাওয়ার আশা করছি। এই পাওয়ার প্লান্টগুলো সংযোগ হলে সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা বিদ্যুৎ পাব। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে ক্লিন এনার্জি থেকে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছাড়িয়েছে ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রম, দুর্দান্ত সাহস এবং দূরদর্শী চিন্তার কারণে বিদ্যুৎ বিভাগ শতভাগ বিদ্যুতায়নে সফল হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নতুন জ¦ালানির খোঁজ করছে। সামনে বড় পরিবর্তন আসছে। হাইড্রোজেন পলিসি করতে যাচ্ছি। এজন্য সরকার একটি নীতিমালাও করছে। ভবিষ্যতে এই জ¦ালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে। এখনো সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়