কুসিক নির্বাচন : ইভিএমে ভোটের প্রক্রিয়া দেখলেন ২১ প্রার্থী

আগের সংবাদ

গোপনে তৎপর জামায়াত : কৌশলে চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম > ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের ছক

পরের সংবাদ

চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার : দিনে অন্য পেশা, রাতে ডাকাতি

প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পেশায় কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, সবজি বিক্রেতা, রং মিস্ত্রি, মুদি দোকানি কিংবা অনলাইনে ফুড ডেলিভারিম্যান। দিনের বেলা অক্লান্ত পরিশ্রম করে উপার্জন করেন। সাদা চোখে মনে হবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা নিতান্ত ভদ্রলোক। কিন্তু ওইসব পেশার আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়ংকর অপরাধের গল্প। দিনের বেলায় কাজের সূত্র ধরে বিভিন্ন বাসাবাড়ি রেকি করেন চক্রের সদস্যরা। পরে রাত হলেই অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে করেন দুর্ধর্ষ ডাকাতি। এমনই এক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গত সোমবার ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সুজন হাওলাদার, রবিউল আউয়াল ওরফে রবি, মো. বাবু ওরফে জুয়েল, মো. রনি, একরাম আলী ও ইব্রাহিম মিঝি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একনলা বন্দুক, ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা, চাপাতি, লোহার তৈরি দুটি ছোরা, লোহার রড, পাইপ কাটার রেঞ্জ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, দিনে অন্য পেশার সুযোগে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে অস্ত্র হাতে অত্যন্ত সুকৌশলে বাসাবাড়িতে থাকা মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয় এই চক্র। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দুর্ধর্ষ এই ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় ডিবি তেজগাঁও বিভাগ।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের সদস্যরা সিএনজি চালানো, অনলাইন ভিত্তিক ফুড ডেলিভারি, রংয়ের কাজ, মুদি দোকানের কাজ করাসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে বিভিন্ন বাসা রেকি করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর রাতের অন্ধকারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সেসব বাসায় প্রবেশ করে লুটপাট চালান। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর বাসাসহ সাভারের ধামরাই, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের কয়েকটি ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত। সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার বছিলা সিটি ডেভেলপার্স লিমিটেড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুটি ডাকাতি মামলাসহ প্রত্যেকের নামে ৭-৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
হারুন অর রশীদ আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬ জন। চক্রটির মূলহোতা সাদ্দাম হোসেন, তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়