জাতীয়করণের দাবিতে কর্মসূচির ডাক বাশিসের

আগের সংবাদ

ঈদযাত্রায় পথে পথে দুর্ভোগ

পরের সংবাদ

ঈদের আনন্দ আনন্দের ঈদ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাতেই ঈদ কাটতে সবচেয়ে ভালো লাগে
ফেরদৌস

ঈদ ঢাকাতেই কাটাব। ঢাকাতেই ঈদ কাটাতে সবচেয়ে ভালো লাগে। কারণ এখানে আমার বেড়ে ওঠা, পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী সবাই আছেন। আমি বিশ্বাস করি ঈদের আনন্দ নিজের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কাটানো উচিত। ঈদের আনন্দটা হচ্ছে ব্যাপক, যা একটা উপভোগ করা যায় না। গত দুই বছর পর এবার হয়তো একটু স্বাভাবিকভাবে উদযাপন করতে পারব। এবার সবার সঙ্গে ঈদের জামাতে নামাজ পরতে পারব, কোলাকুলি করতে পারব, সবার বাসায় বেড়াতে যেতে পারব। এবার বিদেশ থেকে আমার অনেক আত্মীয়স্বজন এসেছেন। তাদেরকে নিয়ে একসঙ্গে ঈদ পালন করব। ঈদের পরদিন শ্বশুরবাড়িতে আয়োজন রেখেছেন, সেখানে সবাইকে নিয়ে যাব। এভাবেই ঈদের দিনগুলো কাটাব। ছোটবেলার সময় আর এখনকার আনন্দ অনুভূতিগুলো একই রকম। আমরা ছোটবেলায় যেমন করতাম সে উচ্ছ¡াস এখন আমার বাচ্চাদের মধ্যে দেখতে চাই। নতুন কয়টা জামা পেলাম, ঈদের সালামি। ঈদের সময় টিভিতে নানা রকমের অনুষ্ঠান দেখতাম। এভাবেই ছোটবেলায় ঈদ কাটত।

নতুন টাকা সালামি না পেলে
ঈদই মনে হতো না
পূর্ণিমা

ঈদ ঢাকায় করব। ঈদের দিন বাসায় থাকব। চট্টগ্রামে যাওয়া হবে না। সবার সঙ্গে বাসায় ঈদ পালন করব। বাসায় আত্মীয়স্বজন আসবেন। আমিও বোনের বাসায় বেড়াতে যাব। রোজার মধ্যে ইফতার নিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। এবারের ঈদে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি আর চট্টগ্রামের বিটিভির আনন্দমেলা করেছি। ছোটবেলায় ঈদ আমার খুব ভালো কাটত। ঈদে নতুন জামা, ঈদের সালামি, আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া অনেক আনন্দের ছিল। নতুন টাকা সালামি না পেলে ঈদই মনে হতো না। এখনকার সময়ের বাচ্চারাতো ঈদের সে আনন্দটা উপভোগ করতে পারে না। প্রতিদিনই ওদের চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করে ফেলছি, তার জন্য ঈদে আলাদা করে ওরা সে আনন্দটা উপভোগ করতে পারে না। ঈদ মানেই যে নতুন জামার একটা বিষয় আছে সেটা এখন ওদেরকে বোঝাতে পারি না।

কলকাতায় ঈদ করতে
গিয়ে কেঁদেছিলাম
জয়া আহসান

আমি সবসময় ঢাকায় ঈদ করি। এবারো ঢাকায় ঈদ করব। ঢাকাতে পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ কাটাব। একবার কলকাতায় ঈদ করতে গিয়ে কেঁদেছিলাম। মিষ্টি পোলাও আর মাটন খেয়ে। আমি আর ওই ঈদটা নিতে পারব না। ঈদ আর পহেলা বৈশাখ দেশে ছাড়া কোথাও করতে ভালো লাগে না।
এবারের ঈদ তুরস্কে করব
অনন্ত জলিল-বর্ষা

প্রতি বছরের মতো এবারো পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে ঈদ করব। এবারের ঈদ তুরস্কে করব। ঈদে সেখানে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াব। এছাড়াও ‘নেত্রী : দ্য লিডার’ সিনেমার বাকি অংশের কাজ করব। আমার পক্ষ থেকে সব ভক্ত-দর্শকের জন্য ঈদের শুভেচ্ছা।
নতুন টাকা সালামি নিতাম
নিপুন

আমি ঢাকাতেই ঈদ করব। ঈদের দিন বাসায় থাকব। ঈদের দিন বাসায় অনেক আত্মীয়স্বজন আসবেন, তাদের সঙ্গে দিনটি কাটাব। এবারে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হলে গিয়ে দেখব। এছাড়া ঈদের পরদিন বাড়ির সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হব। আমার ছোটবেলার ঈদ খুব আনন্দের ছিল। নতুন টাকা সালামি নিতাম।

ছোটবেলার ঈদের সময় খুব মজার ছিল
নিরব

সব সময় ঢাকাতে ঈদ পালন করি। এবারো ঈদের সময় ঢাকাতেই থাকব। ঈদের সময়টা ঠিক কি করা হবে এখনো সেভাবে পরিকল্পনা করি নাই। ঈদে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সেগুলো হলে গিয়ে দেখব। ছোটবেলার ঈদের সময় তো খুব মজার ছিল। নতুন জামা, বড়দের কাছ থেকে সালামি পাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়া।

পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখব
সিয়াম

ঈদ নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা করতে পারিনি। এখনো আমরা সবাই ঘোরের মধ্যে আছি। পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। অনেক নতুন নতুন পরিকল্পনা চলে এসছে, যা পুরোটাই পজিটিভ। আরেকটা ভালো সংবাদ হচ্ছে দুই বছর পর ঈদে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আমার অভিনীত ‘শান’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আমি চেষ্টা করব পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখার। আর দর্শকদের সঙ্গে এবারের ঈদটা উদযাপন করতে চাই। আমার কাছে পরিবার আর দর্শক আলাদা নয়। দর্শকদের উদ্দেশে বলতে চাই, ঈদে মুক্তি পাওয়া সব সিনেমা হলে গিয়ে দেখবেন।

ঈদের প্রথমদিন ঢাকায় থাকব
সজল

ঈদের প্রথমদিন ঢাকায় থাকব। এর পরদিন ঢাকার বাইরে যাব। ঈদের দিনতো অনেক দায়িত্ব থাকে। বাসায় যারা আসেন সবার দেখাশোনা করি। ঈদের দিনটা খুব ব্যস্ততায় যায়। ছোটবেলার ঈদের মতো আনন্দ আর কিছুতে হয় না। ঈদের তিন দিন আগে থেকেই আনন্দ শুরু হয়ে যেত। আরো তিনদিন ঈদের সময় আনন্দেই কাটত। ছোটবেলায় পুরান ঢাকায় নানাবাড়ি সকাল সকাল চলে যেতাম নানার কাছ থেকে সালামি নেয়ার জন্য।

ছোটবেলার ঈদ দিনারময় ছিল
কোনাল

ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে আব্বার কবর জিয়ারত করব। ঈদের সারাদিন বাসায় থাকব। আব্বা মারা যাওয়ার পর কোনো উৎসবই মনে হয় না। ঈদের দিন আত্মীয়স্বজন সবাই আসবেন তাদের সঙ্গে কাটাব। ঈদের কাজগুলো বাসায় বসে দেখব। ছোটবেলায় আরব দেশে আমার ঈদ কেটেছে।
ছোটবেলার ঈদ দিনারময় ছিল। আত্মীয়স্বজন আসতেন আর দিনার দিতেন। সেখানে আসলে ঈদের আমেজটা তেমন বোঝা যেত না। দেশের মতো উৎসবমুখর ছিল না। খুব বোরিং লাগত।

প্রত্যেক ঈদে বাবার কাছ থেকে বাইকের চাবি নিয়ে ঘুরতে যেতাম
রোশান

ঈদের আগদিন পর্যন্ত শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকব। ১ এপ্রিল বাড়ি যাব। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করব। রমজান মাসে শুটিং ব্যস্ততার জন্য বাবা-মার সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার বাড়ি গিয়ে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ পালন করব। ছোটবেলায় ঈদে আমার জন্য বিশেষ আনন্দের ছিল। যখন ছোট ছিলাম প্রত্যেক ঈদে বাবার কাছ থেকে বাইকের চাবি নিয়ে ঘুরতে যেতাম। এটাই ছিল আমার উৎসব। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এটাও খুব ভাল লাগত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়