গণসংহতির নিবন্ধন : আদালত অবমাননার রুল সিইসির বিরুদ্ধে

আগের সংবাদ

সবুজ উইকেটে টাইগারদের কঠিন পরীক্ষা

পরের সংবাদ

‘বই মানুষকে অন্য একটা জগতে নিয়ে যায়’

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বই পড়াকে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হিসেবে মনে করা হয়। বই মানসিক দুর্বলতা দূর করে আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। বই পড়ার নানা দিক নিয়ে কথা হয় অভিনেতা ইরেশ জাকেরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : রেজা শাহীন

ছেলেবেলার পাঠ :
ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে যখন পড়ি তখন থেকে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই পড়া শুরু করি। বাংলা সাহিত্যের মধ্যে তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, শিবরাম, কাকাবাবু, ঘনাদা এগুলো তখন পড়া হতো। ইংরেজি সাহিত্যের পড়তাম ‘দ্য হার্ডি বয়েজ’, ‘ন্যান্সি ড্রু’ ইত্যাদি। ক্লাস সেভেনে যখন উঠি তখন শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাপড়া হয়। আমাদের বাসা ছিল বেইলি রোডে। বাসার পাশে বইয়ের দোকান ছিল ওখান থেকে বই কিনে পড়তাম। আমার বাবার একটা অভ্যাস ছিল নিউমার্কেট যাওয়া। বাবা ওখান থেকে বই নিয়ে আসতেন। ‘অ্যাস্টেরিক্স’ এবং ‘টিনটিন’ এই দুইটা কমিক্স আমার খুব পছন্দের।

সাম্প্রতিক পাঠ :
মঈনুল আহসান সাবেরের ‘আমাদের খনজনপুর’ উপন্যাস পড়া শেষ হলো। এখন দুইটা বই পড়ছি। একটা হলো ‘দ্য হান্ড্রেড থাউজ্যান্ড কিংডম’স’। বইটি লিখেছেন এন কে জেমিসিন। আরেকটা হলো মার্ক ম্যানসন এর ‘দ্য সাটল আর্ট অফ নট গিভিং আ ফা*’। একটা নন ফিকশন আর একটা ফিকশন। কাজের ফাঁকে নন ফিকশন পড়া হয়। আর যখন একদম ফ্রি থাকি তখন ফিকশন পড়ি।
ফ্যান্টাসি জনরা অনেক বই পড়া হচ্ছে ইদানীং। ফন্ডা লি’র ‘দ্য গ্রিন বোন সাগা’ পড়ে শেষ করলাম। এটি তিন বইয়ের সিরিজ। সিরিজটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
প্রত্যেক বছর ৫০টা বই পড়ার টার্গেট থাকে আমার। গত বছর সম্ভবত ৪২টা বই পড়ার সুযোগ হয়েছে। এই বছরও অনেকগুলো বই পড়ার চেষ্টা থাকবে।

প্রিয় লেখক :
দেশের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ, শহীদুল জহির এই দুজনসহ আর অনেকই আছেন প্রিয় লেখকের তালিকায়। দেশের বাইরে রোহিতন মিস্ত্রী, হারুকী মুরাকামি, মিলান কুন্ডেরা এদের লেখা ভালো লাগে। এছাড়াও বিদেশি আরো অনেক লেখক আছেন যারা আমার খুব পছন্দের।

যে ধরনের বই বেশি পড়া হয় :
ফিকশন এবং নন ফিকশন দুইটাই পড়া হয়। তবে আমার সবচেয়ে বেশি পড়া হয় ফিকশন।

কেন বই পড়ব :
আপনি যে মুহূর্তে বইটা পড়া শুরু করেছেন আর যে মুহূর্তে শেষ করেছেন আপনি কিন্তু আপনার সময় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সময়কে একটু ধীর করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা অনেক দ্রুত গতিতে চলছি। আমাদের মানসিক শান্তির জন্য নিজেদের একটু থামানো উচিত। বই একটা মানুষকে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও অন্য একটা জগতে নিয়ে যায়। যে জগতে মানুষের হতাশা, গøানি এসব থাকে না।

লেখালেখি :
দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রতি মাসে অনন্ত একটা লেখা ছাপা হতো আমার। এখন কম লেখা হচ্ছে। আমার মনে হয় লেখালেখি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ। যে মানুষ জীবনে একটা লাইনও লিখেছে আমার মনে হয় তারও বই লেখার ইচ্ছে আছে। সুতরাং আমিও এর ব্যতিক্রম নই। সেই অনুশীলন, নিষ্ঠা যখন আমার ভেতর আসবে সেদিন আমি লিখব নিশ্চয়ই। যতটুকু লেখার দরকার ততটুকু লেখার সুযোগ হয় না। কারণ আমার ফটোগ্রাফিতে সময় দিতে হয়।

বইমেলার স্মৃতি :
এইবার এখনো বইমেলায় যাওয়া হয়নি। তবে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। ১৯৮৫ সালে প্রথম বইমেলায় যাই পরিবারের সঙ্গে। তখন অনেক ছোট ছিলাম পরিবারের সঙ্গেই যাওয়া হতো। ১৯৯৯ সালে আমরা কয়েকজন বন্ধু বইমেলায় যাই। আমাদের দুজনের কাছে টাকা ছিল। সম্ভবত দুই থেকে তিনটা বই কিনেছি বাকিসব টাকা দিয়ে আমরা ফুসকা, চটপটিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছি। বাসায় গিয়ে সবার পেট খারাপ হয়েছে সেদিন। বইমেলার এটা একটা মজার স্মৃতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়