সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা : স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৭

আগের সংবাদ

সিন্ডিকেটে জিম্মি মধ্যপ্রাচ্যগামীরা > বিমান ভাড়া নেয়া হচ্ছে তিন গুণ, অনুরোধ রাখছে না এয়ারলাইন্স : বিমান প্রতিমন্ত্রী

পরের সংবাদ

মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ বাম্পার ফলনের আশা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আতিক ইসলাম সিকো, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে : শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে, শুরু হয়েছে ফাগুন মাস। এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশিকিছু এলাকায় আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ফাগুনের হাওয়ায় চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ। বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত আম চাষিরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখ গেছে- বাড়ির পাশে, সড়কের পাশে ও বাগানে আমগাছে আগাম মুকুল শোভা পাচ্ছে। বিশেষ করে কানসাট ও সাহাপাড়া এলাকায় ভরে গেছে আমের মুকুলে। বসতে শুরু করেছে মৌমাছিরাও।
কানসাট পুকুরিয়া এলাকার আফসার আলী নামে এক আম চাষি বলেন, গত ৫ বছর থেকে আম চাষ করে আসছি। গেল বছর আমার ২ বিঘা আশ্বিনা ও এক বিঘা হিমসাগর আমের বাগান ছিল। প্রথম থেকে পরিচর্যা করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। আম বিক্রি করে পেয়েছি প্রায় ৩ লাখ টাকা। ওই তিন বিঘা জমির বাগানে আবারো পরিচর্যা শুরু করেছি। আগাম মুকুল দেখার পর ভালো লাগছে। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। সুন্দরপুর ইউনিয়নের ওমর ফারুক বলেন, আমের বাগানে গত ১০ দিন থেকেই আমের মুকুল ফোটতে শুরু করেছে। ফলে আগাছা পরিচর্যাও শুরু করেছি। গত বছর আমার দুই বিঘা জমিতে লক্ষণভোগ আমের বাগান ছিল। এতে আমার খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। তবে আমের দাম কম হওয়ায় ১ লাখ টাকার মতো পেয়েছিলাম।
বিশ্বনাথপুর আব্বাস বাজার এলাকার আহসান হাবিব বলেন, আমার নিজ জমিতে দুই বিঘা হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে। তাই বাগান পরিচর্যা করা শুরু করেছি। কিছু গাছে এরই মধ্যে মুকুল এসেছে। ভালো পরিচর্যা হলে সব গাছেই মুকুল আসবে। এই দুই বিঘা জমি থেকে গত বছর প্রায় আড়াই লাখ টাকার আম বিক্রি করেছিলাম। আর বাগান পরিচর্যায় খরচ হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, গত ৪-৫ বছর থেকে লোকসানের মুখে আম ব্যবসায়ীরা। তবে গেল বছর থেকে ব্যবসায়ীর লাভবান হতে শুরু করেছেন। এ বছর বিভিন্ন ধরনের আমগাছ রোপণের ফলে চাষিরা আবারো লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ জেলার ২০ শতাংশ গাছে আমের মুকুল এসেছে। তবে ৯৫ শতাংশ গাছ মুকুলিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়